অছাত্র ও বহিরাগতদের নিয়ে জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মী পরিচয়ে অছাত্র ও বহিরাগত প্রবেশ করে ক্যাম্পাসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তাদের দাবি, অসংখ্য শহিদের রক্তের বিনিময়ে তাদের আন্দোলনে সফলতা এসেছে। তাই কোনোভাবে তারা ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি মেনে নেবেন না। লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি চালুর মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফসল ছিনতাইয়ের ষড়যন্ত্র চলছে বলেও দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।
মেহেদী ইমন নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, ‘ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় মিছিল করল তাদের নিজ ব্যানারে। ছাত্রলীগ হটানো হইছে কি ছাত্রদলের মিছিল নিশ্চিত করতে? বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কোনো দলের ভূমিকা নেই, এটা ছাত্ররা করেছেন। বিজয়ে কোনো দল সুবিধা যেন নিতে না পারে। কোনো দল সুবিধা নিলে ৫ বছর পর আবারও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করা লাগবে। এই বিজয় মহিমান্বিত হোক। দেশ সংস্কার হোক এবং বৈষম্য ও স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশ হোক।’
মাহমুদ হাসান মিশু নামে অপর এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, ‘আপনারা দীর্ঘদিন যাবত ক্যাম্পাসে আসতে পারেন না। আসছেন, দেখছেন, এবার চলে যান। রক্ত স্নান ক্যাম্পাসকে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পবিত্র থাকতে দিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চলবে না।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক স্বর্ণ রিয়া বলেন, ‘আমাদের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছে। এত আত্মত্যাগের পর আমরা আর ক্যাম্পাসে কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে ক্যাম্পাস পরিচালিত হবে।’
এদিকে বুধবার জবি ক্যাম্পাসে সারাদিন কঠোর অবস্থানে ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি কোনো অছাত্র ও বহিরাগত।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) জবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লাসহ শাতাধিক নেতাকর্মী। এর মধ্যে অনেক অছাত্র প্রবেশ করেন ক্যাম্পাসে। এ ছাড়া ছাত্রদল পরিচয়ে বেশ কয়েকজন ‘বহিরাগত টোকাই’ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।