আট ঘণ্টার ব্যবধানে ইবিতে ৬ ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আট ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি অভিযানে ইবি থানা পুলিশ এগুলো উদ্ধার করেছে। তবে এগুলো ককটেল কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
শুক্রবার সকালে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে জাতীয় নির্বাচনপরবর্তী এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কুষ্টিয়ার একটি স্পেশাল ডিটেকটিভ টিম দিয়ে পুরো ক্যাম্পাস সার্চ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ ঘটনা জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক নয় বরং ক্যাম্পাসের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে একটি পক্ষ এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে লালন শাহ হলের পকেট গেট সংলগ্ন এলাকায় দুইটি ককটেলসদৃশ বস্তুর দেখা মিললে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে। রাতেই ইবি থানা পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে। এরপর সকালে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে একটি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ সংলগ্ন এলাকায় দুইটি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ইন্টারন্যাশনাল ব্লকের সামনে একটি ককটেলসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা পুলিশের মাধ্যমে ছয়টি ককটেল উদ্ধার করেছি। ক্যাম্পাস খোলার পরপরই এমন ঘটনা আতঙ্কজনক। ক্যাম্পাস সার্চ করার জন্য কুষ্টিয়া ডিএসবি থেকে একটা স্পেশাল ডিটেক্টিভ টিম আনা হয়েছে।
ইবি থানা পুলিশের ওসি মামুন রহমান বলেন, এগুলো ককটেল কিনা তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। এ বিষয়ে স্পেশালাইজড টিম এগুলো পরীক্ষা করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন শৃঙ্খলার সদস্যদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ঘটনাটি ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এটা জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো ইস্যু বলে আমার মনে হচ্ছে না। ক্যাম্পাসের আভ্যন্তরীণ বিষয়কে কেন্দ্র করে কোনো একটি পক্ষ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য এগুলো করেছে। আগামীকাল এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হবে।