Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস

নাৎসি বাহিনীর নির্যাতনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাক হানাদারদের নির্যাতন: তারানা হালিম

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৩, ১১:১০ পিএম

নাৎসি বাহিনীর নির্যাতনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাক হানাদারদের নির্যাতন: তারানা হালিম

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি বাহিনী যে নির্যাতন চালিয়েছিল, ২৫ মার্চের কালরাতে নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন সেই নির্যাতনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
 
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আলোচনা সভায় আলোচকের বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে রণাঙ্গন থেকে যে ৭৬টি চিঠি সংগ্রহ করা হয়েছিল তার সংকলন থেকে একাত্তরের চিঠি বইটা বের করা হয়। চিঠিতে একজন মুক্তিযোদ্ধা তার মাকে লিখেছিল- ‘মা তুমি দোয়া করো, আমি যেন দেশের জন্য শহীদ হয়ে, শহীদের মর্যাদা পেতে পারি।’

তিনি বলেন, এই রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা গফুর ওরফে কাজী নুরুল মুমিন ১৯৭১ সালের রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তার মাকে লিখেছেন- ‘মা আমি এত মানুষকে নৃশংসভাবে মরতে দেখেছি নিজেকে বাঁচতেও লজ্জা করছে। আমি মরে গর্বিত হতে চাই।’ তিনি শহীদ হয়েই গর্বিত হয়েছেন। এই শহীদের যে বীরত্ব সেটা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পরে। যখন বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিলেন তখন বাংলার নিরস্ত্র মানুষেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল।

তারানা হালিম আরও বলেন, তৎকালীন বাঙালিরা মনের মধ্যে ধারণ করেছিল- আমার মাটি আমার মা, পাকিস্তান হতে দেবো না। তারা গান শুনতেন, মাগো ভাবনা কেন, আমারা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে...। যারা শহিদ হয়েছেন তাদের কিন্তু বয়স বাড়েনি, বয়স বেড়েছে তাদের সন্তানদের, তারা এখন সাদা কালো ফ্রেমে বন্দি।
আলোচনা সভায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার জেনোসাইডের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে বলেন, জেনোসাইড হতে কত সংখ্যা দরকার? আমরা বাংলাদেশিরাও কি শতভাগ বলছি জেনোসাইড হয়েছে? পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে শেষ করা। সেটাই তো জেনোসাইড, সংখ্যা দিয়ে কী হবে। এ সময় তিনি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ আজম, রাবি উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী ও ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক রশীদুল হাসান।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম