চবির জান্নাতুল মাওয়ার শোকজ নোটিশ গেলো রওজাতুল জান্নাতের বাড়ি

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া মিথিলাকে। ওই চিঠি যাওয়ার কথা ছিলো তার স্থায়ী ঠিকানা ফেনীর দাগনভূঞায়।
তবে চিঠি পাঠানো হয়েছে একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাতের স্থায়ী ঠিকানা রংপুরের পীরগঞ্জে। এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ইস্যু হওয়ার ১৪ দিন পর শুক্রবার ডাকযোগে চিঠি পান রওজাতুল জান্নাত। চিঠির খামে তার নাম থাকলেও ভেতরের মূল নোটিশে ছিলো জান্নাতুল মাওয়া মিথিলার নাম।
শুক্রবার রাতে ফেসবুক পোস্টে রওজাতুল জান্নাত লিখেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাঙা-জোড়া প্রশাসনিক কার্যক্রম! প্রশাসনিক কাজে নিয়জিত কর্মচারীরা এতো মূর্খ, অজ্ঞ ও দায়িত্বহীন কীভাবে হয়; আমার জানা নেই। ফেনীর চিঠি রংপুরে এসেছে ঈদের দাওয়াত খেতে।
এদিকে জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা যুগান্তরকে বলেন, প্রথমে একটা চিঠি আমাদের বিভাগে পাঠানো হয়। ওই চিঠির একটা কপি আমাদের আবাসিক হলে পাঠানো হয়। পাশাপাশি স্থায়ী ঠিকানায়ও একটা চিঠি যাওয়ার কথা। আমার নামে ইস্যু করা চিঠি রওজাতুল জান্নাতের স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। আমার স্থায়ী ঠিকানায় এখনো কোনো চিঠি যায়নি। সম্ভবত, আমার চিঠিটাই তার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করা চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, প্রেরণ শাখার কর্মচারীরা বেশ অদক্ষ। একমাস যাবত একজন বরখাস্ত আছে। আরও দুই-একজনকে বরখাস্ত করার মতো অবস্থা। সবাইকে বাদ দিলে আবার কাজ করার লোকও থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা সবার চিঠি প্রাপ্তির বিষয়ে অবশ্যই যুক্তিশীল আচরণ করবো। যেদিন চিঠি পাবে সেদিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চিঠির উত্তর দিতে হবে। এরকম ভুল আরও হয়েছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখার বিষয় থাকবে।
এর আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিজয় ২৪ হলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় চবি কর্তৃপক্ষ। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় ওই ছাত্রীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ১০ ছাত্রীর মধ্যে রওজাতুল জান্নাত ও জান্নাতুল মাওয়া মিথিলাও রয়েছেন।