রাবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় হামলা-বিক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম

নারী শিক্ষার্থীর পোশাক নিয়ে কটূ কথার প্রতিবাদ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচি থেকে অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করার দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা। দাবি মেনে না নেওয়া হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘২৪-এর বাংলায়, পার্ভার্ট তোর ঠাঁই নাই’, ‘আসামি যদি না-ই ধরো, তবে হাতে অস্ত্র কেন’, ‘কাল তোমার বোন হলে, আসামি ধরবা কিসের বলে?’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এর আগে বুধবার ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা গেট এলাকায় যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর পোশাক নিয়ে কটূ মন্তব্য করেন অভিযুক্ত তন্ময় ও তার সহযোগীরা। ওই দুই শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ জানালে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় তন্ময় ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।
পরে স্থানীয়রা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সহায়তায় আহত দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন, ইংরেজি বিভাগের ফারহান মাহমুদ ও একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাবাসসুম নওশীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকগুলোর সামনেই আমার বোনের সঙ্গে এমন অসভ্য আচরণ করা হলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা কোথায় নিরাপদ? আমাদের যদি নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে এই প্রশাসন কেন? আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি এবং নারী শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাফিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ক্যাম্পাসের ভেতর এবং বাহিরে কোথাও নিরাপত্তা দিতে পারেনি। কিন্তু এ দায়িত্ব তাদের ওপরেই ছিল। আমরা প্রশাসনের কাছে দুইটা দাবি নিয়ে এসেছি। প্রথমত, অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে। যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।