আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাবেন গণ-অবস্থানকারীরা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম

ছবি: যুগান্তর
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও দোসর দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিনামা তুলে ধরতে বুধবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণ-অবস্থানকারী ছাত্র জনতার প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার বিকালে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে বের হওয়া পদযাত্রা
শাহবাগ মোড়ে আটকে দিয়ে পুলিশ জানায়, দাবি দাওয়ার
বিষয়গুলো তুলে ধরতে বুধবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সময় দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে
এ সময়সূচি জানান। এরপর আন্দোলনকারীরা পদযাত্রা শেষ করে রাজু ভাস্কর্যের গণঅবস্থানে
ফিরে যান।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি
থেকে রাজু ভাস্কর্যে জুলাই গণহত্যা, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে হত্যাযজ্ঞ চালানোর দায়ে
ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও মিত্রদের নিষিদ্ধের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
কর্মসূচি থেকে
এ পর্যন্ত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ, উপদেষ্টা এবং নবম থেকে দ্বাদশ সংসদের
সদস্যদের ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিদিন সর্বস্তরের নাগরিকদের
গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কর্মসূচির ১৩ম
দিনে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে
পদযাত্রা বের করেন গণঅবস্থানকারীরা।
এতে নেতৃত্ব
দেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান, সাংগঠনিক প্রধান মো.
শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান, আব্দুস
সালাম, ডা. মাসুম বিল্লাহ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব
ফজলুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহমেদ ইফাত, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল
ইসলাম, হামিম হোসাইন শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়াতুল্লাহ,
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম সাকিব প্রমুখ।
পদযাত্রাটি
শাহবাগ মোড়ে পুলিশ আটকে দিলে সেখানে সমাবেশে মিলিত হন আন্দোলনকারীরা। এ সময় জাতীয় বিপ্লবী
পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান বলেন, সিরিয়াতে পরিবর্তনের পর বাথ পার্টিকে
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জার্মানিতেও পতনের পর নাৎসিবাদ ও ইতালিতেও ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ করা
হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নামক জঙ্গী সন্ত্রাসী সংগঠনকে এখন পর্যন্ত নিষিদ্ধ
করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন,
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাযজ্ঞ দিবস। এ দিনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘গ’ শ্রেণির শহিদ
সেনা দিবস করা হয়েছে। আমরা বলছি, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় শোক দিবস করতে
হবে। কারণ ২০০৯ সালের এ দিন ৫৭জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তার ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে
ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকার, তাদের দোসর ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র’এর এজেন্টরা।
আমরা জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাই আপনারা অবিলম্বে সেনাকর্মকর্তাদের
হত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।
জাতীয় বিপ্লবী
পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান শফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ সবসময়ই ক্ষমতাকে
ব্যবহার করে ফ্যসিবাদ প্রতিষ্ঠায় তৎপর ছিল। তারা গণতন্ত্রের নাম করে বারবার ফ্যাসিবাদের
দিকেই অগ্রসর হয়। এই ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসবে, আবার একটা গণহত্যা চালাবে এটা আমরা
কখনোই হতে দিব না।