
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। পরে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদল কর্তৃক ন্যাক্কারজনক হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গতকাল কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদল নিজেদের ফরম বিক্রির কার্যক্রম চালায়। এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করতে চাইলে সেখানে ন্যাক্কারজনক ভাবে নৃশংস হামলা চালায় বহিরাগত ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা।
তারা আরো বলেন, সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী বিকাল পর্যন্তও কুয়েটে আমাদের ভাইয়েরা একের পর এক হামলার স্বীকার হয়েছেন। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘোষণা করতে চাই, বাংলাদেশকে আরেকটি নৈরাজ্যপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হতে আমরা দেব না। হাজারো শহিদের রক্তস্নাত এই ফ্যাসিস্টমুক্ত স্বাধীন দেশে ফ্যাসিস্টদের পুরোনো পদচারণা আমরা মেনে নেব না। কুয়েটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা একান্তই কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের, কোনো বহিরাগত সন্ত্রাসীদের না। ইতঃপূর্বে বুয়েটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেমন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিলো, ছাত্রদলের বর্তমান সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধেও বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনঢ় এবং সুদৃঢ়।
হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অতি দ্রুত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কোনো হামলাকারী ছাড় পেলে তা হবে জুলাই আন্দোলনের শহিদদের সঙ্গে অবমাননা। এর পাশাপাশি, কুয়েটসহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেই লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিলো, তাদের সেই অবস্থানকে সম্মান করুন।
আমরা কুয়েট প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চাই, কোনোভাবেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন না, অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি গ্রহণ করবে।