জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ গণঅনশনে শিক্ষার্থীরা
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় ‘অযৌক্তিক’ পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে আমরণ গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, গণিত বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব হাসান, মার্কেটিং বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রায়হান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান লিমন, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষার্থী (আইবিএ) ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান ও কাজী মেহরাব।
অনশনরত শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আমরা সব অযৌক্তিক কোটার বিলুপ্তি চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তবে এখনো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বহাল রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনের আহত ও শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছেন। অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল না করা আমাদের গণঅনশন কর্মসূচি চলবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, পোষ্য কোটা চিরতরের জন্য বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্তত একটা চাকরির ব্যবস্থা আছে; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা এমন হাজারও শিক্ষার্থী আছে যাদের বাবা কৃষক কিংবা শ্রমিক। তাহলে তাদের সঙ্গে সব থেকে বড় বৈষম্য করছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে এই বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি অযৌক্তিক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা। এছাড়া একই দাবিতে গত তিন দিন ক্যাম্পাসে গণসংযোগ ও পোস্টারিং কর্মসূচি পালন করেন তারা।