বশেমুরবিপ্রবি
গ্রেফতার ছাত্রদল নেতা
‘সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীসহ অন্তত আটজন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেলা সদরের পাচুড়িয়া এলাকায় মেসে এ হামলা হয়।
এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। হামলায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মধ্যে ছাত্রদলের কয়েকজন জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে গোপালগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও চারবার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলী সোহলের ভাতিজা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী কবিরের ছেলে ছাত্রদল নেতা ইফতিকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগীরা হলেন, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সেলিম রেজা, কৃষি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াজদানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান এবং স্থানীয় কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ ও খালিদ। এর মধ্যে ইয়াজদানীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে জখম ও হাত ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষার্থীদের রাতেই গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাতে মেসে নিজেদের রুমে পড়ছিলেন। হঠাৎ ১০ থেকে ১৫ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী সেখানে প্রবেশ করেন। তারা মেসে ঢুকে তাদেরকে সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে পাইপ দিয়ে মারধর করেন। হামলার ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সদর থানায় অবস্থান নেয় এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলা করার দাবি জানায়।
সহকারী প্রক্টর আরিফ রহমান বলেন, আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নিয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ভুক্তভোগী ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা যেন আরও নিরাপদে থাকে সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর সাজিদুর রহমান বলেন, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ইফতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।