Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

জাবি ছাত্রদলের পরিচিতি সভায় দুই গ্রুপের হাতাহাতি

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

জাবি ছাত্রদলের পরিচিতি সভায় দুই গ্রুপের হাতাহাতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় দুইপক্ষের হাতাহাতিতে সভা পণ্ড হয়েছে। 

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় একটি সভা আয়োজন করে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি। সভা উপলক্ষে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে জড় হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় সভা শুরু হলে ত্যাগীদের কেন পদ দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নে করে সভা বর্জন করে পদ বঞ্চিতারা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পদধারীদের একাংশ সভা বর্জন করেন। 

সভা বর্জন করে বেড়িয়ে এসে তারা, ‘ছাত্রলীগের কমিটি, মানিনা মানব না’, ‘পকেট কমিটি, মানিনা মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। 

এসময় পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে ছাত্রদলের অপরাংশ। এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। একপর্যায়ে সেমিনার কক্ষের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেমিনার কক্ষের জানালা ভাঙ্গচুর করে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা।

একপর্যায়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম। এরপর দুইপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে সভা স্থগিত করেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর।

এসময় তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি গুপ্ত সংগঠনের ইন্ধনে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সভা বাঞ্চালের চেষ্টা করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আমাদের একটা অংশ আছে যাদের মধ্যে না পাওয়ার বেদনা আছে। কিন্তু আমরা মনে করি তৃতীয় কোন শক্তির ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটেছে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতকাল আমাদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাথে মিটিং হয়েছে সেখানে নির্দেশনা আছে কারো বিরুদ্ধে যদি অকাট্য প্রমাণ থাকে ছাত্রলীগ ও শিবের সংশ্লিষ্ট থাকার আমরা তাদের অব্যহতি দিয়ে দিব।

পদ বঞ্চিত নেতা আবদুল কাদের মারজুক বলেন, আমরা যারা দীর্ঘ এক যুগ ধরে রাজনীতি করে আসছি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, এই শেখ হাসিনার মতো দালালের স্টিমরোলার সহ্য করে আমরা যারা রাজনীতি করে আসছি, আমাদের উপেক্ষা করে যে পকেট কমিটি দেওয়া হলো, সেই কমিটি আমরা মানি না। আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কীভাবে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে তা আমাদের মাথায়ই ধরে না। ৫ আগস্টের পর যারা একটা প্রোগ্রামও করে নাই তাদের নাম চলে আসছে। যারা লন্ডন কিংবা সুদূর আমেরিকাতে থাকে, তালিকায় তাদের নাম চলে আসছে। আর আমরা যারা দীর্ঘদিনের।

তবে ভাঙ্গচুরের বিষয়ে প্রশ্ন করলে উভয় পক্ষই এর দায় অস্বীকার করেন।

এসময় প্রক্টর রাশিদুল আলম বলেন, আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে এসেছি। এসেই লাইটের ব্যবস্থা করেছি। আমার অনুরোধ থাকবে কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি কেউ করবেন না। মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ হলে কী ধরনের ব্যবস্থা নিবেন এই প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, আমরা চাই যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ শিক্ষার্থী তারা এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করুক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম