ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ইবি শাখার সহ-সভাপতি মামুন অর রশিদ। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে ইবি থানায় সোপর্দ করেন। মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি প্রকাশ্যে জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন। আন্দোলন পরবর্তী সময়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালান। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছেন।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশ নেয় ছাত্রলীগ নেতা মামুন অর রশীদ। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভবনের তৃতীয় তলায় ৩১৫নং কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে থানায় সোপর্দ করেন। তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কিল-ঘুসি ও চড়-থাপ্পড়ের শিকার হন তিনি।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, সে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। পরে আমি তাকে আসতে নিষেধ করেছিলাম; কিন্তু আজকে সে কখন এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা তাকে থানায় দিয়েছে।
প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে পরীক্ষা দিতে আসতে নিষেধ করলেও সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। এতে কারো ইন্ধন আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
ইবি থানার ওসি মেহেদী হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশি হেফাজতে দিয়েছে। সে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এর আগে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত আরমান মীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় গত ৩০ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুন অর রশিদ ১৮ নম্বর আসামি। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। পরবর্তীতে ৭ জানুয়ারি তিনি জামিন পান।