অনশন প্রত্যাহার করে জবি শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ আগামী বুধবার সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে মর্মে লিখিত চিঠি পাওয়ার পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর পাশাপাশি
মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত সামনে না আসা পর্যন্ত জবি পুরোপুরি শাটডাউন থাকবে।
সোমবার সন্ধ্যা
৭টায় অনশন প্রত্যাহারের কথা জানান অনশনরত শিক্ষার্থী একেএম রাকিব।
তিনি বলেন,
আমাদের তিনটি দাবির মধ্যে দুটি পুরোপুরি মেনে নিয়ে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাকি একটি
আলোচনা সাপেক্ষে মেনে নেওয়া হবে। লিখিত চিঠি পাওয়ায় আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি।
তবে মন্ত্রণালয়ের
সভার সিদ্ধান্ত সামনে না আসা পর্যন্ত আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।
এর আগে দুপুর
২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি
ইস্যু করা হয়। এ চিঠি আসার পর অনশনরত শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান। সেগুলো হলো-
১. সেনাবাহিনীর
কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে
স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন
করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের
কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো
প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার
বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন পর্যন্ত
আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে
হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন, আগামী বুধবার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এদিন বিকেল
৩টায় সচিবালয়ের মিটিং শেষে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউজিসি
থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। আগামী বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার
সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ
দেওয়ার প্রসঙ্গে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।
তিনি আরও বলেন,
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের
কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।