অবহেলায় গর্ভাবস্থায় চবি অধ্যাপকের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ পিএম
চিকিৎসার অবহেলায় গর্ভাবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষকের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চবির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিক। গত ১৯ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীর ডেলিভারির জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা চিকিৎসায় গাফিলতি করে। যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানোর কথা তিনিও অনেক দেরিতে আসেন। তাছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাচ্চা মারা যাওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণও দেখাতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী এভারকেয়ার হাসপাতালের গাইনি বিষয়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সানজিদা কবিরের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তার সব রিপোর্টই ঠিকঠাক ছিল। আমরা এটাও বলি যে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না হলে যেন সিজার করে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, ১৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৪টার দিকে আমার স্ত্রী প্রসব বেদনা অনুভব করেন। আমরা সাড়ে ৫টা এভারকেয়ারে পৌঁছাই এবং তখনই ডা. সানজিদা কবিরকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করি। উনি জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে বলেন। তিনি শিগগিরই আসবেন বলে আমাদের জানান। কিন্তু তিনি সাড়ে ৯টায় আসেন। পরে ১০টা ৫২ মিনিটে নবজাতক বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তার বলেন মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ডা. সানজিদা কবির আসার আগেই সাধারণ ডাক্তারদের আনাড়িপনায় গর্ভস্থ বেবির মৃত্যু হয়।
এই শিক্ষক বলেন, সুস্থ বেবির হার্টবিট হঠাৎ কেন বন্ধ হয়ে গেল, তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা তারা দিতে পারছেন না। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন সানজিদা কবিরকে আসতে আদেশ না করে সাধারণ ডাক্তার দিয়ে ডেলিভারির ব্যবস্থা করলেন তাও পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে জানতে সোমবার দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের গেলে হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সালাহ উদ্দিন মামুন ঘটনাটাকে অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে বলেন, মেইলের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানানো হবে। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কোনো মেইল পাওয়া যায়নি। ওই কর্মকর্তাকে কল করলেও তিনি কেটে দেন।