ফল প্রকাশের দাবিতে রাবির সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষার্থীদের তালা
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্স ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা দিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এ সময় কর্মসূচিতে ওই তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের বেশ কয়েক শিক্ষার্থী সংহতি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরও তাদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। বারবার ফলাফল প্রকাশের দাবি জানালেও বিভাগ কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছে; কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। দশ মাস আগে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করলেও আমাদের পরিচয় এখনো স্নাতক পাশ। ফলে ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে এবং চাকরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আবেদন করতে পারছেন না। এতে অনেকেই হতাশায় ভুগছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে আয়েশা মালিহা মাহফুজ বলেন, আমাদের গত বছরের নভেম্বর মাসে মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হয়েছিল। এরপর দশ মাস যাবৎ আমাদের ফলাফল আটকে আছে। আমাদের ব্যাচের অনেক চাকরি প্রত্যাশী ফলাফলের জন্য কোথাও আবেদন করতে পারছেন না। যারা পরিবারের একমাত্র ভরসা তারা হতাশায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে বারবার দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একজন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার কাছে সব ধরনের নথিপত্র আছে; কিন্তু ওই শিক্ষক বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন না। ফলাফল আটকে থাকার পেছনে বিভাগ থেকে এটাই জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্তও এগোচ্ছে না। এজন্য ফলাফলের কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। কোনো উপায় না পেয়ে আজ আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল যুগান্তরকে বলেন, একজন শিক্ষককে বারবার নম্বরপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি নম্বরপত্র জমা দেননি। এজন্য ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। তবে তিনি গতকাল নম্বরপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু সেটি পূর্ণাঙ্গ নয়।
অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে আমরা বিভাগের শিক্ষকরা এসেছি। উপাচার্য বাইরে আছেন। তিনি এলে এ ব্যাপারে কথা বলব।