আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
ঢাকার আশুলিয়ায় গুলিতে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটের আমতলা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলক চত্বর এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘হত্যাকারীর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘দুনিয়ায় মজদুর, এক হও লড়াই করো’, ‘যার টাকায় বুলেট কিনো, তার বুকে গুলি কেন’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও- ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জান্নাতুল নাইম, যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আলিফ শাহরিয়ার।
রাকিব হোসেন বলেন, আশুলিয়ায় শ্রমিকেরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ অন্যানা দাবি পূরণে রাস্তায় নামলে সরকার প্রতিবিপ্লবের নামে তাদের আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে। একপর্যায়ে একজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করতে চাই, কেন এ গুলি করা হলো? কার টাকায় গুলি কিনেছেন? বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে শ্রমিকের টাকায়। কিভাবে তার বুকে গুলি করেন? আমরা এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নাসিম সরকার বলেন, আজকে একটি নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে। এই আধুনিক সভ্যতার চালিকা শক্তি হচ্ছে শ্রমিক, কৃষক শ্রেণি। শাসক ক্ষমতায় একজন শাসক আসে আরেকজন যায় কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। তাদেরকে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়ন এবং বন্দুকের মুখে থামিয়ে দেওয়া হয়। আশুলিয়ায় শ্রমিকেরা তিন মাসের বেতন ও ন্যায্য দাবি নিয়ে মাঠে নামলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পালটা পালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে কাউসার নামের এক শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া অন্তত পাঁচজন আহত হন।