Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ ৩৪ শিক্ষার্থীর

Icon

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ ৩৪ শিক্ষার্থীর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ঈশা খাঁ হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের লিখিত অভিযোগ করেছেন ৩৪ জন শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে বলেন, হলের সিট পাওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- আবু রেজওয়ান-আল-রামীম, আরিফুল অনিক, আরিফুল ইসলাম পিয়াস, আদনান সামি, নাহিদ, আকাশ, সাইফ ও হাসিব।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ভর্তির ১ম ধাপেই যারা হলে উঠতে পারেন না তারা পরবর্তীতে নিজেদের ন্যায্য সিট পেতেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে টাকা দিতে বাধ্য হন। একই শিক্ষার্থীকে একাধিকবার টাকা দিতে বাধ্য করা হতো, অথচ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সিট দেওয়া হতো না। এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাকৃবিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে আসা শিক্ষার্থীরাও একইভাবে ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে সিটের বিনিময়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

সিট বাণিজ্যের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন অন্যায়, অত্যাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। যারাই ছাত্রলীগ কর্মীদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন, তাদের নানারকম হয়রানির শিকার হতে হতো বলেও জানান তারা।

সিট বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আদনান সামী বলেন, সিট বাণিজ্যের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। হলে যারা উঠেছেন তাদের থেকে টাকা নিয়েছি এরকম কেউ বলতে পারবেন বলে আমি মনে করি না। হলে কারা সিট বাণিজ্যে করত সেটিও আমার জানা নাই। আমি এ বিষয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত না। হয়ত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম যার জন্য আমার সঙ্গে শত্রুতা করে নাম দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সবই মিথ্যা অভিযোগ।

অভিযুক্ত কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনিক বলেন, হলের সিট বাণিজ্যের বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। হলের রাজনীতির সঙ্গে আমি যুক্তও ছিলাম না। আমি অনুষদীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। হলে সিট দেওয়ার জন্য কারোর কাছে টাকা নিয়েছি বা আমার মাধ্যমে কাউকে হলে তুলেছি এ রকম কোনো ঘটনা আমার মনে পড়ছে না। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম এবং ১ম সারিতে থেকে রাজনীতি করেছি এটি সবাই জানেন এবং দেখেছেন। অনেকেই ভাবেন যে রাজনীতি করা মানেই হলে সিট বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকা। এ কারণেই হয়ত আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে সিট বাণিজ্যের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই যুক্ত নই।

অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

সিট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে সিট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গণতদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম