পাহাড়ে হামলার প্রতিবাদে রাবি-রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ির মধুপুর ও দীঘিনালায় জুম্মদের ওপর হামলা, হত্যা ও লুটপাটের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) জুম্ম শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘খাগড়াছড়িতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পাহাড় থেকে সেনা শাসন, প্রত্যাহার কর, করতে হবে’, ‘মগধা সেনা বাহিনী গো ব্যাক’, ‘সমতল মুক্ত হলে পাহাড় কবে মুক্ত হবে’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রাঙ্গামাটি জ্বলছে কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিনা অপরাধে ব্রাশফায়ার কেন?’ ইত্যাদি স্লোগান ও লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে অংশ নিয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী অন্বেষণ চাকমা বলেন, গতকাল খাগড়াছড়িতে সেটেলার বাঙালিদের থেকে আমাদের বাড়িঘর রক্ষার জন্য যারা পাহারা দিচ্ছিলেন, সেই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর নির্বিচারে গুলিতে আমাদের এক ছোট ভাই নিহত হয়েছে। আজকে রাঙামাটি সদরে আমাদের ভাইয়েরা যখন প্রতিবাদের জন্য রাজপথে নেমে আসে তখন সেটেলার বাঙালিরা আমাদের ভাইদের বিক্ষোভের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমাদের বৌদ্ধবিহারে হামলা এবং লুটপাট করেছে। এ হামলার প্রতিবাদে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রুয়েটের জুম্ম পরিবার থেকে তীব্র নিন্দা জানায়।
এ সময় বনজ্যোতি ত্রিপুরা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে আজ কেন পাহাড়ে আগুন জ্বলছে? অন্য দেশ থেকে এসে রোহিঙ্গারা যেখানে শান্তিতে আছে সেখানে আদিবাসী হয়ে আমরা কেন নিরাপত্তা পাচ্ছি না? আমরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে না, আমরা সেনাশাসনের বিরুদ্ধে। আমরা যখন রাজপথে নেমেছি আমাদের দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিজয় চাকমার সঞ্চালনায় এসময় প্রায় দুই শতাধিক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।