Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

রাবিতে পোকায় খেয়ে ফেলল শিক্ষার্থীদের মার্কশিট

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম

রাবিতে পোকায় খেয়ে ফেলল শিক্ষার্থীদের মার্কশিট

কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র (মার্কশিট) পোকায় খেয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী তার মার্কশিট তুলতে গেলে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।

শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আমাদের কাগজপত্রগুলো বিভাগের অফিসের ফ্লোরে পরে ছিল। এজন্য সহজেই পোকা কেটে নিছে। ডিপার্টমেন্ট আমাদের জীবনের এত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস গুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে নাই। এটা অবশ্যই আনপ্রফেশনাল এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এর দায়ভার বিভাগকেই নিতে হবে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতকে ভর্তির সময় অনুষদ অফিসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আসল নম্বরপত্র (মার্কশিট) জমা দিতে হয়। পরে সেখান থেকে নিজ নিজ বিভাগকে নম্বরপত্র সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অফিস কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীর মার্কশিট পোকায় খেয়ে ফেলে। গতকাল এক শিক্ষার্থী তার নিজের নম্বরপত্র তুলতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ইত্তেহাদুল ইসলাম প্রণুত বলেন, ডকুমেন্টসগুলা পোকায় কেটেছে মূলত অফিসের স্টাফদের গাফিলতর কারণে। তারা অযুহাত দিচ্ছে যে ৩ মাস ডিপার্টমেন্ট বন্ধ ছিল এজন্য এমন অবস্থা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাগজপত্রগুলা বিভাগের অফিসের ফ্লোরে পরে ছিল। এজন্য সহজেই পোকা কেটে নিছে। তারা এটা উঠিয়ে নিতে বলেছিল আমাদের ৩-৪ মাস আগে। এখন তারা এটা বলারও চেষ্টা করতেছে যে, আমরা ডকুমেন্টস ফেরত নিতে বলেছি। আপনারা নেন নাই, এক্ষেত্রে আপনাদের দোষ। সোজা বাংলায় ভিক্টিম ব্লেইমিং করার ট্রাই করতেছে আমাদের।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কাজী রবিউল আলম বলেন, বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের মার্কশিটের ফটোকপি নাই তাদেরকে বিভাগ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছি। আর এবিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্তের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। কারণ একাডেমিক কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম