জাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুতে সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে নিয়ে অপপ্রচার
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ গণপিটুনির শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে সম্মানহানির অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল।
বৃহস্পতিবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এমন অভিযোগ তুলেন আরিফ সোহেল।
সেখানে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগরের ক্যাম্পাস গ্রুপগুলোয় কিংবা বিভিন্ন জায়গায় বিশাল বিশাল প্যারাগ্রাফ লিখে জানানো হচ্ছে যে, গতরাতে হামলায় আমিসহ, সিফাত, সিয়াম, মালিহা, কিছু সমন্বয়ক শামীম মোল্লাকে পিটিয়েছে। একেক প্যারাগ্রাফে অবশ্য কাহিনি একেক রকম। কোথাও দুই দফা পেটানোর কথা বলা হচ্ছে, কোথাও লোক জড়ো করার কথা বলা হচ্ছে। কমেন্ট আর পোস্টগুলোতে বলা হচ্ছে ‘ছবি আর ভিডিও’ তে নাকি এগুলো দেখা গেছে, যদিও কোনো ছবি বা ভিডিওর লিংক কেউ পোস্ট করতে পারছে না, যেখানে আমাদের শামীম মোল্লাকে আঘাত করতে দেখা যাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, গতকাল আমি ব্যক্তিগতভাবে শামীম মোল্লাকে দেখারই সুযোগই পাইনি। সিয়াম, সিফাতকে প্রক্টর অফিসে পৌঁছলে দেখতে পাই শামীম মোল্লাকে তালা মেরে অফিসে রেখে দেওয়া। পরে প্রান্তিকে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে নতুন কলায় যাই। পথে সিয়াম, সিফাত প্রক্টর অফিসে নেমে সাংবাদিক ও প্রশাসন, খোদ ভিসি মহোদয়ের পাশে দাঁড়িয়ে শামীম মোল্লাকে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, যেসব ফেইক আইডিগুলো গ্রুপে একের পর এক কমেন্ট, পোস্ট করছেন, গ্রুপগুলোয় যারা বাছবিচার ছাড়া এসব আইডি অ্যাড করছেন এবং লীগের সন্ত্রাসী যারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা শক্তিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন তাদের আলামত যথাযথ স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উনারা মনে হয় ভুলে গেছেন ছাত্র-জনতা এখনো সরকারের অংশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তায় এসব তৎপরতার পেছনে যারা তাদের আসল নাম, পরিচয় অচিরেই প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা চলমান, সেক্ষেত্রে মানহানি মামলাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যাবে, আর শামীম মোল্লার হত্যাকে কারা কীভাবে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন তাও স্পষ্ট হবে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পৃথক আরেকটি ফেসবুক পোস্টে আরিফ সোহেল বলেন, গতকাল রাতের ঘটনায় ছাত্রদল সংশ্লিষ্ট সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এমএন সোহাগসহ যেসব সাংগঠনিক পরিচয় ধারণকারী অথবা সাংগঠনিক পরিচয়হীন ব্যক্তিবর্গকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে তাদের প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় এনে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।