‘সংবিধানে এত বেশি সংশোধন দরকার যে তা পুনর্লিখনের মতোই’
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ এএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের
অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেছেন, সংবিধানে এত বেশি সংশোধন প্রয়োজন যে
তা পুনর্লিখনই হয়ে যায়। ছয় পৃষ্ঠার মধ্যে পাঁচ পৃষ্ঠাই যদি সংশোধন করতে হয় তাহলে সেটা
একপ্রকার পুনর্লিখনই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাকসু ভবনে ‘সংবিধানের সংশোধন নাকি পুনর্লিখন’
বিষয়ে আয়োজিত মুক্তবিতর্কে তিনি এ কথা বলেন। এটি আয়োজন করে রঞ্জন নামের একটি সংগঠন।
তিনি আরও বলেন, পুনর্লিখনের ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে এটা সাংবিধানিক
পরিষদের মাধ্যমে পাশ হতে হবে কিনা। আমার মনে হয়, সংশোধন আকারে কম্পাইল করে সেখানে রাজনৈতিক
দল ও নাগরিক সমাজের অঙ্গীকার বা স্বাক্ষর নেওয়া যেতে পারে, যেটাকে বলা হবে জাতীয় সনদ।
পরবর্তী সরকার প্রথম অধিবেশনে সংবিধান সংশোধন নিয়ে প্রস্তাবনা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ৭২-এর পরে সংবিধানে অনেকবার কাটাছেঁড়া করা
হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের কারণেই
দেশের এ দুর্গতি। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে এই সংশোধনী আনা হয়।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান সংবিধানের
পুনর্লিখনের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, সংবিধানে জন-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে হবে। আমাদের
সংবিধানের মৌলিক নীতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধারণ করেনি। তাই সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে
ধারণের জন্য সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি।
মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান পুনর্লিখনে জোর দিয়ে বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নেই বললেই চলে, তাকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার কথা জানান এই অধ্যাপক।
এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সমুদ্রবিজ্ঞান ও মৎসবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, পালী বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত চাকমা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শেখ মাহমুদ হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ফারহানা খান যুথী, আইন বিভাগের তাফহিম উল ইসলাম ও উত্তম কুমার ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের রিজাউর রহমান।
মডারেটর ছিলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন,
একই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফাতিমা যাহরা আহসান রাইসা ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী
ইসফাকুল কবির আসিফ।