জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্র রাজনীতিসহ সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ও অবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

রোববার বিকাল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রী হল, চৌরঙ্গী, ট্রান্সপোর্ট হয়ে বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতির ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে তা বন্ধের দাবি জানান। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের দিকগুলো তুলে ধরে রাজনীতি বন্ধের দাবি করেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি চলবে না। আমরা মনে করি, এদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে পারলে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাই। কেননা এই ছাত্র রাজনীতি চলমান থাকার কারণেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে জাকসু চালু করা হোক। তৃতীয়ত, আমরা চাই ক্যাম্পাসে জাকসু চালু করা হোক। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের যে লড়াই সেটি লাঘব হবে। পাশাপাশি আমরা চাই হল সংসদ ও বিভাগীয় সংসদ অবিলম্বে চালু করতে হবে।

আরেক সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে কোন বাম, ডান, মধ্যমপন্থি কোন ছাত্র রাজনীতি চলবে না। ছাত্র রাজনীতির নামে ক্যাম্পাসে যে অরাজকতা চালানো হয় আমরা আর সেটি হতে দেব না। আমরা চাই ক্যাম্পাসে কোন ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি আর দেখতে চাই না। যারা রাজনীতি করতে চান তাদের নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই, আপনারা ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে করেন কিন্তু ক্যাম্পাসে কোনো রাজনীতি করা চলবে না।

বাংলা বিভাগের শিক্ষক আহসান ইমাম শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, আমাকে এতদিন বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। আমি এখন আস্তে আস্তে সব বলব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতির নামে যে অরাজকতা চলে সেগুলোই এ হামলার মদদদাতা হিসেবে কাজ করেছে। ১৫ জুলাইয়ের হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি। রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই। আমি বলতে চাই যে শিক্ষকরা হত্যার রাজনীতি করে সে রাজনীতি আমাদের দরকার নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুর রশিদ জিতু বলেন, আমরা অবিলম্বে জাকসু চাই। ক্যাম্পাসে সকল প্রকার লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে হল সংসদ চালু করতে হবে।