Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

ট্রেন থামিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

Icon

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

ট্রেন থামিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই আন্দোলন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও ট্রেন আটকে রেখে রেললাইন অবরোধ করে মিছিল করেন তারা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে সমবেত হন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কেআর মার্কেট হয়ে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। মিছিল চলাকালীন ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, কোটা প্রথার কবর দে’সহ নানান স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে মুক্তমঞ্চের সামনে একটি প্রতিবাদ সভা করেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ সভা শেষে সেখান থেকে আব্দুল জব্বার মোড় পর্যন্ত পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড়ে পৌঁছলে ওই সময় ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রেখে রেললাইন অবরোধ করে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে ট্রেন চলাচল সচল হয়।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মেডিসিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, ২০১৮ সালের ছয় বছর পরে একই কোটা নিয়ে আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এটিকে কি দেশের উন্নতি বলা যায়? ঘুরেফিরে আমরা ছয় বছর পিছিয়েই রইলাম। মুক্তিযোদ্ধা কোটা যদি থাকবেই তাহলে ৭১ সালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রাণত্যাগ অর্থহীন হয়ে যায়। আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের প্রায়ই বলে থাকি যে তাদের তো মুক্তিযোদ্ধা কোটা আছে। চাকরি পেতে তাদের তো মেধার দরকার নেই। এর মাধ্যমে কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরই প্রতিনিয়ত অবমাননা করা হচ্ছে। আমরা দেশের বীরদের অবশ্যই সম্মান করব। তবে কোনো ধরনের কোটা বৈষম্য আমরা মেনে নেব না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, চাকরিতে নিয়োগ এবং অন্যান্য সব প্রতিযোগিতার জায়গায় আমরা মেধার শতভাগ মূল্যায়ন চাই।

এ সময় একোয়াকালচার বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন সর্বোচ্চ সম্মানের যোগ্য। তবে তাদের সম্মান দেওয়ার নাম করে কোটা প্রথার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে চরম বৈষম্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলার ছাত্রসমাজ এটি কিছুতেই মেনে নেবে না। ৪ জুলাইয়ে কোটার বিষয়ে যে রায় হবে সেখানে আমরা মেধাবীদের জয় দেখতে চাই। আর তা না হলে দেশের সমগ্র ছাত্রসমাজ একযোগে রুখে দাঁড়াবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম