জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ছালাহ উদ্দীনকে অব্যাহতির প্রতিবাদ জানিয়েছে খতিবদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ। খতিবকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বুধবার শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমাম ও খতিব মাওলানা ছালাহ উদ্দীনকে অব্যাহতি প্রধান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন একটি খবর গণমাধ্যমে প্রচার হলে তা খতিবদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিল বাংলাদেশের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। দীর্ঘ আঠার বছরের এই ইমামকে কেন আকস্মিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো তা জানতে চাইলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট নামাজের স্থানে নামাজ আদায় করতে আসেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একছাত্রী। নামাজ পড়ে অসুস্থতা বোধ করলে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন নামাজের স্থানে। এসময় রাত প্রায় পৌনে ১১টার দিকে মসজিদের দরজা বন্ধ করতে আসেন মসজিদের মুয়াজ্জিন। তিনি এ ঘটনা ইমাম সাহেবকে জানান।’
মসজিদের ইমামের তো কোনো দোষ নেই: জবি ছাত্রী
‘ইমাম সাহেব বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে তিনি প্রথমে ইমাম সাহেবের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এরপর ছাত্রীকে তার হলে পৌঁছে দিতে বলেন। ইমাম সাহেব মুয়াজ্জিন ও জেনারেটর অপারেটরকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে তার হলে পৌঁছে দেন। পরদিন ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উক্ত ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পাশাপাশি ইমামকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে আদেশ জারি করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছে।’
‘বিনা দোষে’ জবির মসজিদের ইমামকে অব্যাহতি, ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় দেশের ইমাম-খতিবদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন শানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার মনে করেন, এই ঘটনায় ইমাম ছালাহ উদ্দীনের ওপর অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি জোর দাবি জানিয়ে বলেন, মসজিদের একজন সম্মানিত ইমামকে জোরপূর্বক অব্যাহতির দায়ে প্রক্টরসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ইমামকে তার দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হোক।’