শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের বিবৃতি
বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি বৈষম্য তৈরি করবে
যুগান্তর প্রতিবেদন ও ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)’।
একই সঙ্গে জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২২ শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর নিম্নআয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত পেনশনের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে পেনশনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তারা বলেন, ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা নতুন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে পুরোনোদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকরি করার পর পদোন্নতির পরিবর্তে বিজ্ঞাপিত শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগ লাভ করলে পেনশন ব্যবস্থাপনার কী হবে, তা নতুন প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্ট করা হয়নি!
এমনকি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অবসরের পর শিক্ষকরা বর্তমান ব্যবস্থার মতো এককালীন অর্থ পাবেন না। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীরা এককালীন অর্থপ্রাপ্তির সুবিধার পাশাপাশি মাসিক ভাতা পাবেন, যা বৈষম্যমূলক এবং অন্যায়। এই বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের কারণে শিক্ষকদের সামাজিক অবস্থানের আরেক দফা অবনমন হবে।
প্রতিবাদে ঢাবি কর্মচারীদের মানববন্ধন: পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সোমবার বেলা ১১টায় ঢাবির স্মৃতি চিরন্তনের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের নিজ নিজ সংগঠনের নেতারা মনে করেন, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মচারী চরম বৈষম্যের শিকার হবেন।