জাবিতে ধর্ষণকাণ্ড: ব্রিফিংয়ে নতুন তথ্য দিল র্যাব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
টাকা-পয়াসার লেনদেন নয়, মাদক ব্যবসার অবাধ সুযোগ দিতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই হরহামেশাই ঘটছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আরও পড়ুন: স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ, ছাত্রলীগকে একহাত নিলেন ব্যারিস্টার রুমিন
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। এ ঘটনার মূল হোতা বহিরাগত মামুন মাদক কারবারের জন্য প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করত৷
খন্দকার আল মঈন বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী৷ কিছুটা উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছে ভুক্তভোগী নারীকে৷
ঠিক ১৫ মিনিট পরেই হলের বাইরের আরেকটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় ভুক্তভোগীর স্বামীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করছে অভিযুক্তরা৷
আরও পড়ুন: ‘আসামির স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব পুলিশের, এটি কীসের আলামত?’
সারা দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভেতরে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ও সৃষ্টি হলে তৎপরতা বাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর৷ বুধবার রাতে রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ থেকে ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা মামুনুর রশিদ মামুন ও সহায়তাকারী মুরাদকে গ্রেফতার করে র্যাব৷
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দীর্ঘদিন ধরে একই ফ্ল্যাটে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বসবাস করত মূল হোতা মামুন৷ এরই মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জাহিদের সঙ্গে মাদক বিক্রির সখ্যতা দক্ষতা গড়ে ওঠে মামুনের৷
ব্রিফিংয়ে র্যাব আরও জানায়, ধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মাদক কারবারিসহ নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকত চক্রের মূল হোতা৷
শুধু এই ঘটনা নয়, ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্জন এলাকায় প্রায়ই ধর্ষণসহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও লোকলজ্জার ভয়ে অভিযোগ করেন না অনেকেই বলে জানায় র্যাব৷