Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

হাইস্কুলে কক্ষ দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরিসহ নানা অভিযোগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮ পিএম

হাইস্কুলে কক্ষ দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরিসহ নানা অভিযোগ

ফাইল ছবি

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার কুর্মিটোলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের নিচতলার একটি কক্ষ দখল করে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আসলাম উদ্দিন। তিনি খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠানটির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়টির কক্ষে বসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা ও বিচার-সালিশ করেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিনের কক্ষ দখলে নিয়ে নিজ কার্যালয় বানিয়েছেন আসলাম। কক্ষটি দখলে নিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রসহ পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে ডেকোরেশন করেছেন। 

প্রতিষ্ঠানটির সাবেক দাতা সদস্য শাহীনুল ইসলাম শাহীন বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গভর্নিং বডির কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবাই নির্বাচিত হন। কারণ, আসলাম কাউকে মনোনয়ন ফরম কিনতে দেননি। কমিটির অধিকাংশই তার আত্মীয়স্বজন। দখল করা কক্ষটিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি ব্যক্তিগত কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি অনৈতিক কার্যক্রমও চলে। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। ইতোপূর্বে আসলামের হাতে কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। আসলামের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় প্রতিষ্ঠানটির গণিতের শিক্ষক রেজাউল হকের বেতন প্রায় ৬ মাস বন্ধ রাখা হয়। স্কুলের উন্নয়ন ও পিকনিকের নামে চাঁদা তুলে আত্মসাৎ করে আসলাম। স্কুলটির রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে যে অনুদান তোলা হয়, তা স্কুলের ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। 

মো. ছরোয়ার, মজিবুর রহমান ও জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, স্কুলটির শিক্ষার মান আগের চেয়ে অনেক খারাপ হয়েছে। শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নে গভর্নিং বডির দায়িত্ব হলেও এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে যারা ফেল করেছে তাদের কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে এক হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। সেই টাকা গভর্নিং বডি আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, অন্যায়ভাবে আসলাম আমার বেতন বন্ধ করে রেখেছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেওয়া হয় আমাকে। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান বলেন, আমি গত আগস্টে যোগদান করেছি। সবকিছু ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। বড় বড় স্কুলগুলোতেও গভর্নিং বডির সভাপতির আলাদা কোন রুম নেই। তবে এখানে আছে। স্কুলের সার্বিক বিষয়ে স্থানীয় সংসদ-সদস্যকে জানানো হয়েছে। 

অভিযুক্ত আসলাম বলেন, কক্ষটিতে গভর্নিং বডির সভা হয়। এটি আমার ব্যক্তিগত কার্যালয় নয়। আমি কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। 

ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, স্কুলের ভেতর ব্যক্তিগত কার্যালয় করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম