Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম

শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি

স্বাধীনতার পর থেকে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও কোনো ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হয়নি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষায় বৈষম্য বাড়ছে। প্রাথমিক শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হলে ইবতেদায়ি প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ইবতেদায়ি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের নেতারা।

সংগঠনের নেতা হাফেজ মাওলানা আহমাদ আলীর সভাপতিত্বে ও রেজাউল হকের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি শিক্ষা উন্নয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবর রহমান। 

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ড. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, ড. শহিদুল হক, উপাধ্যক্ষ আবদুর রহমান, ড. এম আব্দুল আজিজ, ড. মোরশেদ আলম সালেহী, ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, ড. ইদ্রিস আলী, ড. এমরানুল হক, ড. ইব্রাহিম খলিল আনোয়ারী, ড. মাসুদুর রহমান, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ বদিউল আলম সরকার, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, মাও. মোহেব্বুল্লাহ জামি, মাও. মোসলেহ উদ্দিন, মাও. শহিদুল ইসলাম সাদ্দাম, রেজাউল হক প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. একে এম মাহবুবর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন- ‘আমি আগে মুসলমান পরে বাঙালি, মক্তব্যের শিক্ষাই হলো বুনিয়াদি শিক্ষা। মুসলমান একবার মরে, দুইবার মরে না।’ সেই বঙ্গবন্ধুর দেশে শিক্ষায় বৈষম্য থাকতে পারে না। 

তিনি বলেন, ৫০০ টাকা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা শুরু হয়েছে। হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করা হয় নাই। তাই ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের দাবি জানাই। 

বক্তারা বলেন, প্রায় ৪৩১২টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে স্কেল অনুযায়ী বেতন দেওয়ার জন্য শিক্ষা সচিব, শিক্ষা উপমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এমপিও প্রদানের নির্দেশ দিলেও অদ্যাবধি দীর্ঘ ৩৯ বছরে একটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকেও এমপিও-বিল দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে সব রেজিস্ট্রার ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে এমপিও বিল প্রদানের আওতাভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবি জানানো হয়। এছাড়া বন্ধ রাখা উপবৃত্তি অবিলম্বে চালু করার জন্য দাবি জানান তারা।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম