শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ডাকা চলমান অবরোধের সমর্থনে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তবাদী শিক্ষক ফোরাম। 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (ডেইরি গেট) এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারের সঞ্চালনায় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদস্বরূপ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানানোর কারণে ২৮ অক্টোবর হামলা চালানো হয়েছে। তাই এটা এখন জনগণের আন্দোলন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সরকারি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলেই তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সরকারবিরোধী কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারেন না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তাদের হলের বাইরে থাকতে হয়। তাই সকলের সমর্থনে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় চাই। এজন্য প্রয়োজন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। বাঙালি জাতি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরাও জনগণের পক্ষে আজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।

সমাপনী বক্তব্যে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম বলেন, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে পুলিশি বাহিনী দিয়ে পণ্ড করেছে। বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে- অথচ সবাই জানে, মূলত আওয়ামী লীগই সন্ত্রাসী দল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঘটনা পুনরায় ঘটতে দেওয়া হবে না। আমাদের এ আন্দোলনকে জনগণ সমর্থন করবে বলে আশা রাখি।

এ সময় নেতারা ‘সাধারণ জনগণ এ সরকার চায় না’ উল্লেখ্য করে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, অধ্যাপক ড. মোহম্মাদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. এএনএম ফখরুদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক ড. আবেদা সুলতানা, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক ড. একেএম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক চৌধুরী গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রকিব, কামরুন নেছা খন্দকার প্রমুখ।