ঢাবির বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান বর্জন সাদা দলের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান বর্জন করেছে সাদা দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভিন্নমত পোষণ করেন তারা।
তারা বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস এবং মানুষের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণকারী সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে গণতন্ত্রের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে আমরা মেনে নিতে পারি না।
সাদা দল জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশের একটি অগ্রণী ও শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। এটি গণতন্ত্রচর্চার সূতিকাগার ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার লালন কেন্দ্র। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি, পাকিস্তানি অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসক, এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশক্তির বিরুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা আমরা সবাই জানি।
সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এমন একজন প্রধানমন্ত্রীকে, যার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশে চরম কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সরকার চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। মুক্তবুদ্ধিচর্চা ও বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে আবারো একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের অগণতান্ত্রিক, স্বৈর ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা, আবারো একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের অপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে এবং সরকারের পদত্যাগ ও একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক মানুষ এখন সর্বাত্মক আন্দোলন করছে।
এর প্রতিবাদে সাদা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আসন্ন বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আমরা আশা করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ আমাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়ে আসন্ন সমাবর্তন বর্জন করবেন।