সুপ্রিয় পরীক্ষার্থীরা
আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছ। এ মুহূর্তে তোমরা সব বিষয়ে কিভাবে ভালো ফলাফল করা যায় তা নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ কারণ তোমাদের পরীক্ষা খুবই নিকটবর্তী। অনেকে পরীক্ষা কিভাবে দিবে, পরীক্ষার হল কেমন হবে, পরীক্ষার হলে সবকিছু মনে থাকবে কিনা এ নিয়ে চিন্তাও করছ। পরীক্ষা দিবে সম্পূর্ণ টেনশনফ্রি। আমি আশা রাখি তোমাদের সবার পরীক্ষা ভালো হবে এবং আশানুরূপ হবে। তারপরও তোমাদের অতীব সতর্কতার জন্য তোমরা নিুোক্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে মনে রাখবে।
* প্রথমে প্রশ্ন পেয়ে উদ্দীপকগুলো ভালোভাবে পড়বে এবং প্রশ্নগুলো বুঝবে। তারপর যে উদ্দীপকটির সবগুলো প্রশ্নের সমাধান ভালোভাবে করতে পারবে সেটির উত্তর আগে দিবে। বাকিগুলো পরে দিবে।
* সম্পূর্ণ প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবে। তারপর সহজ উত্তরের প্রশ্নগুলো বাছাই করবে। শুরুতেই এমন কোনো প্রশ্নের উত্তর দিবে না যাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন হলেও তুমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে না।
* যে অঙ্কগুলো জটিল মনে হয় সেগুলো শেষের দিকে করবে। সহজগুলো আগে করবে।
* পাঠ্য বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্কগুলো বেশি বেশি অনুশীলন করবে। কারণ সৃজনশীল অঙ্কে এরূপ সমস্যা উদ্দীপক আকারে জুড়ে দিতে পারে।
* একই সৃজনশীল অঙ্কে ক, খ ও গ এর উত্তর পর পর লেখার চেষ্টা করবে।
* দুর্বল শিক্ষার্থীরা সহজমান প্রশ্ন অর্থাৎ ক এর উত্তরটি ভালো করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তাতে তোমার পাশের একটা উপায় তৈরি হতে পারে।
* জ্যামিতিকচিত্রে অঙ্কন ও চিহ্নিতকরণ পেন্সিল দিয়ে করবে। জ্যামিতিক চিত্রগুলো যেন সঠিক, সুন্দর ও স্পষ্ট হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* অঙ্ক করার সময় মাথা ঠান্ডা রেখে অঙ্ক করবে।
* গণিতে অনেকে ‘ক’ উত্তরে চিত্র দিয়ে ‘খ’ বা ‘গ’ উত্তরে চিত্র দেয় না। জ্যামিতিক চিত্র ছাড়া বর্ণনা বা প্রমাণ গ্রহণযোগ্য নয়।
* কোনো সৃজনশীল প্রশ্নের ক, খ কিংবা গ এর কিছু অংশের সঠিক সমাধান নির্ণয় করতে না পারলে বিচলিত হবে না। কারণ তুমি যতটুকু অংশের সঠিক সমাধান করবে ততটুকু অংশেরই নম্বর পাবে।
* বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে শর্ট-কাট পদ্ধতি অবলম্বন করবে। তাতে অনেক সময় বেঁচে যাবে।
* বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নির্ভুল বৃত্ত ভরাট করার চেষ্টা করবে।
* কোনো প্রশ্নের উত্তর না পারলে অহেতুক সময় নষ্ট না করে দ্রুত অন্য প্রশ্নে চলে যাবে।
* উত্তরপত্রে অন্য কিছু লিখবে না। রাফ করার জন্য খাতায় একটি পাতা বাছাই করে নিয়ে রাফ করবে এবং পরে সেটা কেটে দিবে।
* গণিতে অনেক পরীক্ষার্থী উত্তরের একক লিখতে ভুলে যায়। তুমি এদিকে খেয়াল রাখবে যেন একক লিখতে ভুল না হয়।
* গণিতে অনেক সময় সহজ যোগ, বিয়োগ বা গুণ, ভাগ তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে ভুল হয়ে যায়। এজন্য তাড়াহুড়া করা যাবে না।
* পরিসংখ্যানের সারণির সময় থাকলে পেন্সিল দিয়ে করে শিওর হয়ে কলম দিয়ে লিখবে। কারণ সারণি তৈরিতে ভুল হলে কাটাকাটি করে লেখা যায় না।
* ওভাররাইটিং না করার চেষ্টা করবে। ভুল হলে কেটে আবার লিখবে। গণিতে ওভাররাইটিং করলে সঠিক সংখ্যা বুঝা যায় না। সেক্ষেত্রে নম্বর কাটা যেতে পারে।