Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:৫৪ এএম

নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে অন্তত ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে- ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষার্থী তামিরুল হাফিজ, ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষার্শী ফয়সল ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রিমন অবস্থা গুরুতর।

বুধবার বিকাল থেকে রাত পর্যস্ত দফায় দফায় ক্যাম্পাসের শান্তিনিকেতন ও আবদুস সালাম হলের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত একাধিক শিক্ষার্থীকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সিনিয়র-জুনিয়র বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের একাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অনুসারীরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায়।  

এ সময় সেখানে ছাত্রলীগ নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে নুহাশের গ্রুপের এক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা নাঈম গ্রুপের মাইনুল নামে এক ছাত্রকে মারধর করে জখম করে।

এর জের ধরে দু্ই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।রাত সাড়ে ৯টার দিকে নুহাশ গ্রুপের লোকজন আবদুস সালাম হলের সামনে শোডাউন করে শক্তি প্রদর্শন করে। সেখানে নুহাশ গ্রুপের অনুসারীরা সালাম হলের কয়েকটি জানালা ভাঙচুর করে। পুনরায় সেখানেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গিয়ে ছাত্রদের নিবৃত করেন। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা নাঈমের ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে বৈঠক চলমান রয়েছে।তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।

ছাত্রলীগের অপর পক্ষের নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার সঙ্গে তারা কোনো পক্ষ জড়িত নন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন জানান, এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজান পাঠান বলেন, শুনেছি ৩-৪ জন শিক্ষার্থী আহত হযেছে।আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম