
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫০ এএম
‘শীঘ্রই বিশ্বের মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে মুছে ফেলা হবে’

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম
-67f3eb9064e95.jpg)
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের পাশে শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারও ক্যাম্পাসের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়রাও যোগ দেন।
এ সময় তারা ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরাইল বয়কট’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, রমজান থেকে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে উপেক্ষা করে গাজাবাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা শুরু করেছিল। রাসূল (সা.)-এর সময়েও হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করেছিল কাফের সম্প্রদায়। এভাবে তারা যখন চুক্তি ভঙ্গ করেছিল আল্লাহর সাহায্যে তারা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা ইসরাইলিদের বলে দিতে চাই, যেহেতু তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছো তোমরাও বেশি দিন পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারবে না। শীঘ্রই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে মুছে ফেলা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো ইসরাইলি পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে কিন্তু আমরা সচেতন হচ্ছি না। যারা ইসরাইলের পণ্য সরবরাহ করছে তাদের আমরা সচেতন করে দিতে চাই। আমাদেরও সচেতন থাকতে হবে, যেন আমরা ইসরাইলে পণ্য ব্যবহার না করি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শীঘ্রই পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল ভ্রমণ নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে হবে এবং ফিলিস্তিনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর যে হামলা চলছে, ইসরাইলের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং ভারত।
তিনি বলেন, ইসরাইলকে বয়কট করার পাশাপাশি এদেরও বয়কট করতে হবে। আমরা যদি শুধু বিক্ষোভ মিছিল নিয়েই পড়ে থাকি তাহলে আজ গাজার যে পরিস্থিতি হয়েছে কাল আমাদেরও হবে। তাই সারাবিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করার সময় এসে গেছে।