Logo
Logo
×

অন্যান্য

বাকৃবি গবেষকদের নতুন জাতের ‘বাউ সরিষা-৯’ উদ্ভাবন

Icon

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪ এএম

বাকৃবি গবেষকদের নতুন জাতের ‘বাউ সরিষা-৯’ উদ্ভাবন

স্বল্পমেয়াদি, উচ্চ ফলনশীল, রোগবালাই প্রতিরোধী এবং লবণাক্ততা সহিষ্ণু নতুন সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। নতুন উদ্ভাবিত জাতটির নামকরণ করা হয়েছে বাউ সরিষা-৯, যা চলতি বছরের ৩১ মার্চ জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধন পেয়েছে।

নতুন জাতটির উৎপাদনকাল ৭৮ থেকে ৮২ দিন এবং বীজে তেলের পরিমাণ ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা দেশে প্রচলিত সরিষার সাধারণ জাতে প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ। উদ্ভাবিত নতুন জাতের আড়াই কেজি সরিষা থেকে ১ লিটার তেল পাওয়া যাবে। জাতটির হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় দুই টন, যা প্রচলিত অন্যান্য স্বল্পমেয়াদি সরিষার জাত থেকে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ বেশি।

বাউ সরিষা-৯ ব্রাসিকা ন্যাপুস প্রজাতির, যাদের জীবনকাল গড়ে ৮০ দিন। কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের সংরক্ষিত ২৫০টিরও অধিক জেনোটাইপের মধ্য থেকে স্বল্প জীবনকালীন পাঁচটি জেনোটাইপ প্রজাতিভেদে বাছাই করা হয়। পরে জেনোটাইপগুলোর ডায়ালাল মেটিং পদ্ধতিতে উচ্চতর গবেষণা করে বাউ সরিষা-৯ স্বল্পজীবনকালীন প্রজাতিটির উদ্ভাবন করা হয়। জাতটির উদ্ভাবক ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. এবিএম আরিফ হাসান খান রবিন জানান, বাউ সরিষা-৯ চাষের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি যে, অল্টারনারিয়া ব্লাইট, পোকামাকড় এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণ খুবই কম। জাতটি পরিমিত রূপে বন্যা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু হওয়ায় উৎপাদন প্রচলিত অন্যান্য জাতের তুলনায় প্রায় ২০-২৫ শতাংশ বেশি। কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজননের গবেষণা মাঠ এবং বাকৃবির পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের চর এলাকায় জাতটির পরীক্ষামূলক চাষ করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। উদ্ভাবিত বাউ সরিষা-৯ এ অলিক এসিডের পরিমাণ শতকরা ১৬-১৭ শতাংশ, ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের অণুপাত ২৫.১, যা সয়াবিন তেলে ১৮.১। বাউ সরিষা-৯ থেকে প্রাপ্ত তেলের স্মোক পয়েন্ট ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা সয়াবিন তেলের তুলনায় প্রায় ১৪ ডিগ্রি বেশি। সরিষার তেলে বিদ্যমান গ্লুকোসিনোনেট বিশ্লেষিত হয়ে আইসো থায়োসায়ানাইট তৈরি হয়, যা ক্যানসার প্রতিরোধী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম