ভাঙল ২৯ বছরের সংসার
ত্রিশে পৌঁছাতে না পারার আক্ষেপ এআর রহমানের
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ২৯ বছরের সম্পর্কে ভাঙন! সুর কাটল দাম্পত্যের। সংসারে ইতি টেনে সামাজিক মাধ্যমে গত মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ভারতের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী এ আর রহমান। আর সেই খবর জানতেই হতবাক অনুরাগীরা। কেউ যেন মেনেই নিতে পারছেন না বিষয়টি।
১৯ নভেম্বর বিবৃতি দিয়ে আলাদা হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন রহমানের ২৯ বছরের জীবনসঙ্গী সায়রা বানু।
আর এরপরই সামাজিক মাধ্যমে এক্স হ্যান্ডেলে আবেগঘন একটা পোস্ট করলেন এআর রহমান। সেখানে তিনি লিখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সব কিছুরই একটা অদেখা শেষ আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে আল্লাহর সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন তবুও আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর তাদের জায়গা খুঁজে পাবে না। আমাদের বন্ধুদের বলছি, যখন আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা যে উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
এর আগে বিয়ে ভাঙা নিয়ে সায়রা বানুর একটি বিবৃতি ইন্ডিয়া টুডের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন তার আইনজীবী। যেখানে তিনি বলেন, বিয়ের এত বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। তাদের মধ্যে মানসিক টানাপোড়েনের কারণেই তারা এই পথে হাঁটছেন।
সেখানে আরও জানানো হয়, একে অপরের প্রতি তাদের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, রহমান ও সায়রা খেয়াল করেছেন তাদের মধ্যে আজ অনেক ব্যবধান, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা এই মুহুর্তে কারোর পক্ষেই পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তারা। আর তাই তারা এই ভঙ্গুর সেতু রেখে দিতে রাজি নন।
সায়রা বানু জানান, তার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয় মোটেও সহজ ছিল না, তবুও অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে গোপনীয়তা রক্ষা এবং তাদের একান্তে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সায়রা বানু।
প্রসঙ্গত, শেষবার আম্বানিদের ছোট ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানুকে। তখনও তাদের দেখে বোঝা সম্ভব হয়নি যে তাদের মধ্যে এতটা মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এ আর রহমান। তাদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন। তারপরেও দীর্ঘ ২৯ বছর তারকা দম্পতির এমন সিদ্ধান্তে হতবাক তাদের অনুরাগীরা।