বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির নাম ফয়জান খান। তার বাড়ি ভারতের ছত্তিশগড়ে। ফয়জান শাহরুখ খানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার দাবি জানিয়েছিলেন। ফয়জান খান পেশায় আইনজীবী।
ফয়জান পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে ১৪ নভেম্বর তিনি মুম্বাইতে আসবেন এবং বান্দ্রা পুলিশকে তার বয়ান দেবেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ক্রমাগত হুমকি পাওয়ার পর ফয়জান খান মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যে নিরাপত্তাজনিত কারণে তার বয়ান যেন ভার্চ্যুয়ালি নেওয়া হয়।
গত ৫ নভেম্বর শাহরুখ খানকে খুনের হুমকি দিয়ে মুম্বাই পুলিশের কাছে এক উড়ো ফোন এসেছিল। এর পাশাপাশি এই বলিউড সুপারস্টারের থেকে ৫০ লাখ টাকার দাবি জানানো হয়েছিল। পরে ফোনের লোকেশন যাচাই করে মুম্বাই পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছত্তিশগড়ের রায়পুরের বাসিন্দা। পুলিশ আরও জানতে পারে যে সেই ব্যক্তি হলেন আইনজীবী ফয়জল খান। মুম্বাই পুলিশের একটি দল তদন্তের স্বার্থে ফয়জান খানের বাড়িতে গিয়েছিল।
এর আগে বান্দ্রা থানায় কিং খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ফয়জান খান। তার অভিযোগ ছিল যে ১৯৯৩ সালে ‘আঞ্জাম’ ছবিতে এক হরিণ হত্যার দৃশ্য ছিল। আর এই দৃশ্যের মাধ্যমে শাহরুখ খান নাকি দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন।
ফয়জান এই বলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছিলেন বলে শোনা যায়। ফয়জান জানিয়েছিলেন যে গত ২ নভেম্বর শাহরুখের জন্মদিনের দিন তার মুঠোফোন চুরি গিয়েছিল। আর তিনি স্থানীয় থানায় সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। ফয়জান আরও বলেছিলেন যে তিনি কোনো হুমকি দেননি, আর তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বান্দ্রা পুলিশের কাছে শাহরুখ খানকে হুমকি দেওয়া ফোনটি এসেছিল। খুনের হুমকি দেওয়া সেই ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘মান্নত, ব্যান্ডস্ট্যান্ডওয়ালা শাহরুখ আছেন না। উনি যদি ৫০ লাখ না দেন, তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলব।’ পুলিশ তার নাম জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার নাম হিন্দুস্থানি লেখ।’ এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দিয়েছিলেন। মুম্বাই পুলিশ ফয়জানের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হননি। আর তাই তাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।