বন্ধুত্ব থাকলেও বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে নাকি সারাকে যমের মতো ভয় পেতেন। সারার নাম শুনলেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতেন বলে জানান তিনি। তবে আজ নয়, এ ঘটনা সেই স্কুলজীবনের সময়। স্কুলজীবন থেকে তাদের পরিচয়। কিন্তু এখন অভিনেত্রী সারা আলি খান ও অনন্যা পান্ডের মাঝে বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্কুলজীবনের গল্প বলেন অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে। বন্ধুত্ব থাকলেও অনন্যা নাকি সারাকে যমের মতো ভয় পেতেন। সারার নাম শুনলেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতেন তিনি।
অনন্যার থেকে তিন বছরের বড় অভিনেতা নবাব সাইফ আলি খানের কন্যা সারা আলি খান। ছোট থেকেই বেশ ডাকাবুকো স্বভাবের ছিলেন অভিনেত্রী। মুখের ওপর কথা বলতেন। অনন্যা বলেন, সারা খুবই ঠোঁটকাটা স্বভাবের ছিল। এখনো তাই আছে। তবে স্কুলে আরও সাংঘাতিক ছিল। মুখে যা আসত, তাই বলে দিত। আমি ভয় ভয় থাকতাম। ভাবতাম— এই বুঝি আমার সম্পর্কে কিছু বলল।
স্কুলে এ কারণে সারাকে কিছুটা এড়িয়েই চলতেন অনন্যা। অভিনেত্রী বলেন, আমি যদি দেখতাম, সারা কোনো একটা সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে, ওই পথ দিয়ে আমি যেতাম না। প্রথম দিকে অনন্যার নামও জানতেন না সারা। তাকে ‘এই’ বলে ডাকতেন সাইফকন্যা।
অনন্যা বলেন, আমার মনে আছে— একসঙ্গে স্কুলে একটা নাটক করেছিলাম। ও-ই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিল। আমি বোধহয় ওর মাথায় ছাতা ধরেছিলাম। পেছনে ছিলাম সারার। এই সময় সারা নাকি অনন্যাকে ‘এই এই’ বলে ডাকতেন এবং খুব রুঢ় ব্যবহার করতেন। যদিও এখন নাকি অনন্যার কাছে সেই কথা স্বীকার করেন না সারা। তার দাবি, অনন্যার সঙ্গে তিনি নাকি খুব ভালোই ব্যবহার করতেন।
স্কুলজীবন শেষে এখন সারার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে অনন্যা পান্ডের। পরিচালক করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’-তে একসঙ্গে উপস্থিতও হয়েছিলেন দুজনে। বলিউডে পা রাখার পর অনন্যার সঙ্গে সারার বন্ধুত্বের ভিত শক্ত করেন। একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতেও যান তারা।