ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে বিপাকে কঙ্গনা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
ঠোঁটকাটা স্বভাবের রানি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত প্রায় সময় আলোচনায় থাকেন। অবশ্য তিনি আলোচনায় থাকতে বেশিই পছন্দ করেন বলে মনে করেন সিনেমাপ্রেমীরা। তাই বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে।
এর আগে কঙ্গনা শিখবিরোধী, পঞ্জাবিবিরোধী মন্তব্য করে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন তিনি। তাই ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমা মুক্তি নিয়ে বিপাকে এ অভিনেত্রী।
আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এবার ফতোয়া কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’র বিরুদ্ধে। ছবিটি মুক্তির আগেই তা নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র সভাপতি হরজিন্দর সিংহ ধামি। বুধবারই তিনি ছবিটি নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন। তার দাবি— উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিচ্ছিন্নতাকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে এ সিনেমায়। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন ধামি। উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে।
এই ‘শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’ শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেই এটি প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। এমনিতেই কঙ্গনা শিখবিরোধী, পঞ্জাবিবিরোধী মন্তব্য করে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
হরজিন্দর সিংহ ধামি অভিযোগ করে বলেছেন, কঙ্গনা অভিনীত, পরিচালিত ও অভিনীত ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটিতে শিখ সম্প্রদায়কে ঘাতক হিসেবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে, যা তাদের মূল্যবোধে আঘাত করছে। তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালের জুন মাসে জাতি সংঘর্ষে নিহত জারনাইল সিংহ ভিন্দ্রনওয়ালেকে শহিদের মর্যাদা দিয়েছে ‘অকাল তখ্ত সাহিব’। কিন্তু এ ছবিতে তার চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়েছে।
হরজিন্দরের দাবি, সংসদ সদস্য অভিনেত্রী প্রায়ই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মূল্যবোধে আঘাত করে থাকেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না সরকার। এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তারা। শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করার দাবিও তুলেছেন তিনি। তাদের অভিযোগ— আগেও বহু চলচ্চিত্রে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে বহুবার ‘শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যেন ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন’-এ একজন শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থাকেন। সেই মর্মে আবেদনও করা হয়। কিন্তু কেন্দ্র সে কথা কানে তোলেনি বলে জানান ধামি। এবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন, যেন ‘ইমার্জেন্সি’র ছবিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, নানান চড়াই-উতরাই পার করে অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত, পরিচালিত ও প্রযোজিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’। এই ছবিটি বিভিন্ন কারণে বারবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। এর মধ্যেই ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘ইমার্জেন্সি’।