কাজ আর সংসারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশল বলিউড অভিনেতা আমির খানের কাছ থেকেই পান বলে জানান রণবীর কাপুর। তিনি বলেন, দুই বছর আগে আমির খানের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি কাঁদছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কী হয়েছে, এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন— আমি আমার জীবনের ৩০ বছর কাটিয়েছি এবং এই কয়েক বছরে আমার একমাত্র সম্পর্ক হয়েছে আমার দর্শকদের সঙ্গে। আমার সন্তানদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। আমার মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। স্ত্রীর (কিরণ রাও) সঙ্গেও, যদিও তিনি তখন তার স্ত্রী ছিলেন। রণবীর তখন বলেছিলেন, এই পেশা তো এমনই। পুরোটা দিতে হবে। সুতরাং চেষ্টা থাক আপনার রিল ও রিয়েল লাইফের মধ্যে ব্যালেন্স রেখে চলার।
তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি স্ত্রী আলিয়া ভাট ও মেয়ে রাহার সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটান। এবং অভিনয়ের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন।
এর আগে ২০১৪ সালে রাজকুমার হিরানির ব্লকবাস্টার সাই-ফাই স্যাটায়ার পিকে ছবিতে আমির খানের সঙ্গে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা রণবীর কাপুর। এ ছাড়া রণবীর কাপুর নিখিল কামাথের পডকাস্ট পিপল বাই ডব্লিউটিএফে আমির খানের কাছ থেকে পাওয়া একটি মূল্যবান পরামর্শের কথা স্মরণ করেছিলেন।
গত বছর ‘কফি উইথ করণ সিজন ৮’-এ একটি এপিসোডে সঞ্চালক করণ জোহরকে আমির বলেছিলেন, ‘এক বছর আগে আমি অনেক আত্মসমীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। আমি অনুভব করেছি যে, আমি আমার সম্পর্কগুলোকে আমার কাজের মতো লালন করি না। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমি ইরা (মেয়ে) ও জুনায়েদের (ছেলে) সঙ্গে ছোটবেলায় সঠিক সময় ব্যয় করিনি। গত কয়েক মাসে আমি একজন পরিবর্তিত মানুষ। আমি আমার পরিবার, সন্তান, কিরণের বাবা-মা, রিনার (সাবেক স্ত্রী) বাবা-মা, আমার মা, বোন এবং ভাইয়ের সঙ্গে আরও বেশি সংযোগ স্থাপন করি। আমি আমার কাজের বিনিময়ে তাদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করতাম। কিন্তু সেই সময়ে আমি যা করছিলাম, তা খুব আবেগের সঙ্গে অনুসরণ করছিলাম।
উল্লেখ্য, আমির খানকে আগামীতে ‘সিতারে জমিন পার’ ছবিতে দেখা যাবে, যা লাল সিং চাড্ডার পর আসতে চলেছে ছবিটি। মেয়ে ইরা খানের বিয়ে হয়েছে এ বছরের শুরুর দিকে। এ ছাড়া আমিরের বড় ছেলে জুনায়েদ সম্প্রতি মহারাজের হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস