১০ হাজার ঘণ্টায় মুকেশকন্যার শাড়ি তৈরি, কী বিশেষত্ব?
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানি খুব ফ্যাশনসচেতন। তাকে মিট গালায় উপস্থিত হতে দেখা যায়। ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এবারও ইশা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন; তার গায়ে ছিল অসাধারণ শাড়ি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর ইশার শাড়ি সবার নজর কাড়ে। তার ‘দ্য গার্ডেন অব টাইম’ থিমের শাড়িটি তৈরি করতে ১০ হাজার ঘণ্টা সময় লেগেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, মে মাসের প্রথম সোমবার নিউইয়র্ক শহর ছিল তারকাখচিত। ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় রাতে আলিয়া ভাট থেকে জেনিফার লোপেজ, কিম কার্দাশিয়ান থেকে ইশা আম্বানি, তারকাদের কেতাদুরস্ত পোশাক এখন টক অব দ্য ইন্টারনেট।
দ্য মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের রেড কার্পেটে হাঁটার জন্য রাহুল মিশ্রর ডিজাইন করা গোল্ডেন শাড়ি গাউন বেছে নেন ইশা। যাতে হ্যান্ড-এমব্রয়ডারি। যেন কোনো ফুলের স্বর্গরাজ্য সেটি। আর ফুলের বাগানে খেলা করে বেড়াচ্ছে প্রজাপতি ও ড্রাগনফ্লাই। মেট গালার জন্য এটাই ডিজাইনার রাহুল মিশ্রের প্রথম কাজ।
ইশার স্টাইলিস্ট অনিতা শ্রফ আদজানিয়া জানান, প্রকৃতির জীবনচক্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইশার পোশাকে, যা করা হয়েছে হ্যান্ড এমব্রয়ডারির মাধ্যমে। শাড়ি গাউনটির কাজ করতে ১০ হাজার ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। এতে রয়েছে নকশি, জরদৌসি ও অ্যাপ্লিকের কাজ।
আম্বানিকন্যা শাড়ির সঙ্গে মানানসই একটি জেড ক্লাচ ব্যাগ, ট্র্যাডিশনাল পদ্ম শেপের ব্রেসলেট, তোতা পাখির মতো দেখতে কানের দুল এবং একটি ফুলের জিজাইনের চোকার নেন।
আর মেকআপ হিসাবে ইশাকে দেখা গেছে মোটা ভ্রু, গালে রুজ, ব্রোঞ্জার এবং গোলাপি লিপস্টিকে। আইমেকআপে প্রাধান্য পেয়েছে সোনালি রঙ। ব্যবহার করা হয়েছে বেশ গাঢ় করে মাস্কারা।
ফিরে মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানি প্রায় প্রতি বছরই উপস্থিত থাকেন মেট গালাতে। ২০১৭ সালে ডেবিউ করেছিলেন তিনি; ছিলেন ২০১৯ সালেও। ২০২৩ সালে তাকে দেখা গিয়েছিল নেপালি-আমেরিকান ফ্যাশন ডিজাইনার প্রবাল গুরুংয়ের সাটিন কালো শাড়ি-গাউন। ২০১৯ সালেও ইশাকে সাজিয়েছিলেন প্রবাল গুরুং-ই। সেবার ডিপ নেকলাইনের একটি লাইল্যাক গাউন পরেন তিনি। আর ২০১৭ সালে মেট গালায় ইশা ডেবিউ করেন খ্রিস্টান ডিওর গাউনে।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাজের পাশাপাশি ইশা ব্যস্ত থাকেন তার দুই সন্তানকে নিয়েও। ২০২২-এর ১৯ নভেম্বর ইশা আম্বানি ও তার স্বামী আনন্দ পিরামলের জীবনে আসে তাদের যমজ সন্তান কৃষ্ণা এবং আদিয়া।