পাপারাজ্জিদের প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন এশা?
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড় মেয়ে এশা দেওয়াল। হিরা ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে ১২ বছরের দাম্পত্যে ছেদ পড়তে চলেছে। বিচ্ছেদের খবরে যৌথ সিলমোহর দিয়েছেন এশা এবং তার স্বামী ভরত। এ খবরে অনুরাগীরাও খানিকটা অবাক হয়েছেন। কারণ এশা আর ভরতের সম্পর্কের ওঠানামা কখনই তেমন প্রকাশ্যে আসেনি। বরং অনেক সাক্ষাৎকারে তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে যথেষ্ট সুখী দাম্পত্য যাপন করছেন বলেই মনে হয়েছে। শুধু তাই নয়, যখনই এশা ও ভরত পাশাপাশি বসে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, পরস্পরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দুজনে। তবে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এই অভিনেত্রী। একাধিক বিধিনিষেধ ছিল শ্বশুরবাড়িতে বলে জানিয়েছিলেন এশা।
আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, স্বামী ভরতের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি এশাকে। তবে সোমবার সকালেই মুম্বাই বিমানবন্দরে দেখা মিলল অভিনেত্রীর। পরনে সাদা টিশার্ট, জিনস, মাথায় টুপি। গাড়ি থেকে নেমে প্রবেশদ্বারের সামনে এগোতেই ঘিরে ধরেন পাপ্পারাজ্জিরা। খুব বেশি কথা বলতে ইচ্ছুক ছিলেন না স্বাভাবিকভাবেই। পাপ্পারাজ্জিরা জিজ্ঞেস করেন, কেমন আছেন আপনি? মৃদু হেসে এশা বলেন, ‘আমি ভালো আছি।’ ব্যাস, এই তিনটি শব্দ, তার পরই ঢুকে যান বিমানবন্দরের ভেতরে। যদিও ঢোকার আগে সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি।
বিয়ের পর এশা নিজেই জানিয়েছিলেন, একান্নবর্তী সংসারে একাধিক বিধিনিষেধ ছিল শ্বশুরবাড়িতে। তবে সেসব নিয়ে কোনো দিনই মাথা ঘামাননি এশার মা। দেওয়াল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, হেমা মালিনী মেয়ে-জামাইয়ের বিচ্ছেদের মধ্যে কখনই ঢুকতে যাননি। যদিও শোনা যাচ্ছে, মেয়ের বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে খুশি নন ধর্মেন্দ্র। শোনা যাচ্ছিল, অভিনেতা চান মেয়ে-জামাই তাদের সিদ্ধান্ত আরও একবার ভেবে দেখুক। যদিও এ ধরনের খবর একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন দেওয়াল পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ। তার দাবি, সবাই যে যার মতো ভালো আছেন, পরিবারে কোনো ধরনের মতপার্থক্য নেই। দেওয়াল অন্দরে এখন আদতে কেমন পরিস্থিতি, তা এখনই জানা যাচ্ছে না।