যে কারণে সঞ্জয় লীলা বানসালির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন অঙ্কিতা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম
ফাইল ছবি
সুশান্ত সিং রাজপুত-অঙ্কিতা লোখান্ডে ধারাবাহিক ‘পবিত্র রিস্তা’র নায়ক-নায়িকা। পর্দার দাম্পত্য ছায়া ফেলেছিল বাস্তব জীবনেও। বলিউড পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির কাছ থেকে ডাক পেয়েছিলেন তিনি।
সুপারহিট ছবি ‘বাজিরাও মাস্তানিতে’ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় অঙ্কিতাকে। কিন্তু সেই সময় অভিনেত্রীর মন জুড়ে বসন্ত। সুশান্ত সিং রাজপুত অর্থাৎ অঙ্কিতার তৎকালীন প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য মন উচাটন তার। সে কারণেই ওই অফার ছেড়ে দেন।
অঙ্কিতা বলেন, মনে আছে সঞ্জয় স্যার নিজে ফোন করে বলেন, ‘ছবিটা কর, নয়তো সারাজীবন পস্তাবে’। কিন্তু আমি তাকে বলি, না স্যার আমি বিয়ে করতে চাই। ব্যস ছবিও হাতছাড়া।’
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে সে কথা জানিয়ে আফসোস করেছেন অঙ্কিতা। তিনি এতটাই সুশান্তের প্রেমে মগ্ন যে, সঞ্জয়ের মতো পরিচালকের মুখের উপরেও নাকি না বলেছিলেন!
ক্যারিয়ারটাই অন্যরকম হতে পারত যদি এমনটা না করতেন অঙ্কিতা লোখন্ডে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
অঙ্কিতা জানান, ‘বাজিরাও মাস্তানির’ মতো ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আজও তার দুঃখ হয়, তবে তিনি অনুতপ্ত নন। কারণ তিনি স্বেচ্ছায় সেই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
অঙ্কিতা আরও জানান, পরে তিনি নিজের জায়গা তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। বর্তমানে স্বামী ভিকি জৈনের সঙ্গে স্বপ্নের জীবনযাপন করছেন।
‘বাজিরাও মস্তানি’ ছবিতে কাজের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে অঙ্কিতা বলেন, ‘আমার মনে আছে সঞ্জয় স্যার আমাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘কর লে বাজিরাও বর্না ইয়াদ রাখ, পাছতায়েগি তু (বাজিরাও মাস্তানি কর, না হলে পরে আফসোস করতে হবে)। সঞ্জয় স্যার আক্ষরিক অর্থেই আমার প্রশংসা করেছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম, ‘নাহি স্যার, মুঝে শাদি করনি হ্যায় (না, স্যার। আমি বিয়ে করতে চাই)।’ আমার এখনো সেটা মনে আছে এবং এরপর সঞ্জয়ের আর কিছু বলার ছিল না।’
শাহরুখ খান অভিনীত ফারাহ খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ছবিতে একটি চরিত্রের জন্যও অঙ্কিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল; কিন্তু একই কারণে অঙ্কিতা সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে অঙ্কিতার কথায়- ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, সত্যি বলতে কি সেই সময় ক্যারিয়ারের চেয়ে আমি অন্যকিছুকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। তাছাড়া আমি জানতামও না কিভাবে ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। এখন আমি সবাইকে বলি ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন দুটোকে আলাদা রাখতে।’