অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অতিদ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান কোনো একক সংগঠনের কৃতিত্ব নয়, এ অভ্যুত্থান বাংলাদেশের আপামর জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফল হয়েছে।

রোববার রাজধানীর রামপুরা থানার অন্তর্গত ২৩নং ওয়ার্ড শাখা যুবদলের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবদল নেতা বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা ফ্যাসিস্ট মাফিয়া হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গেছে এবং অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা গদি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছিলেন স্বৈরাচার পতনের মূল রূপকার।

জুয়েল বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। তাদেরকে সফল হতে দেওয়া হবে না।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনাদেরকে এখন পর্যন্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। আপনারা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটা সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করেন।

মহানগর যুবদলের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মালিক এই দেশের জনগণ। জনগণই ঠিক করবে তাদের প্রতিনিধি কারা হবে এবং একমাত্র জনগণের ভোটাধিকারের মাধ্যমেই এইটা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করার অধিকার রাখে।

শরীফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, যুবদলে হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় নেই। কখনো দেওয়া হবে না। যারা আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে, রাজপথে ছিল, হামলা-মামলার শিকার হয়েছে, সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারাই যুবদলের প্রকৃত কর্মী। একমাত্র তারাই ভবিষ্যতে যুবদলের নেতৃত্বে আসার যোগ্যতা রাখবে। আন্দোলনের সময় যারা নেতৃত্বে ছিল তারা চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে জড়িত না। যারা ঘাপটি মেরেছিল, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে চলেছে- তারাই চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে জড়িত।

তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে জনগণের পাশে থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। যাদের কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয় কিংবা জনগণের আস্থা বিনষ্ট হবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে যত ত্যাগী নেতাই হোক।

২৩নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক রতন মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাঈম ইসলাম নানুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম আহসান মাসুম, আবুল হাসান টিটু, তানভীর আহমেদ ইকরাম, শামীম আহমেদ, শামীম আহমদ ও জুলহাস আহমেদ।