Logo
Logo
×

বিএনপি

‘ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় জনগণ আর মানবে না’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

‘ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় জনগণ আর মানবে না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না।আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের উদ্যোগে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ বিরাট একটি মনোভাব তৈরি করেছে। মানুষের মনে যে প্রত্যাশা জেগেছে, যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাচ্ছে- সেটি আমাদের ধারণ করতে হবে।রাজনীতিক হিসেবে ধারণ করতে হবে, দল হিসেবে ধারণ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ কিভাবে গড়ব আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর অবস্থান স্পষ্ট থাকতে হবে। যাতে সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই তারা দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় আছে, সেই বিষয়টি আগামীতে কিভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিকভাবে নিয়ে আসার জন্য আমরা কী করব, স্বাস্থ্য খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় আমরা স্বাস্থ্যসেবা কিভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে পারব সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্ষমতা আসার পর তিন বছর ছিলেন। তিন বছরের মধ্যে তিনি সবকিছুকে ভেঙে ফেলে তৈরি করেছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেন। কৃষক শ্রমিক ব্যবসায়ী প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর তিনি নজর রাখতেন। সেই বিষয়টি আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন না, সরকারপ্রধান ছিলেন না, একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। জিয়াউর রহমান সাহেব একজন আর্মি জেনারেল ছিলেন, যিনি সম্মুখযুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন সংস্কারক ছিলেন। সুতরাং জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবে না। তার দর্শন আমাদের মধ্যে চলে আসে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তৈরি করেছিলেন। অর্থনীতিতে প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছেন- কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, তাদের পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে এবং যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করতে হবে।

আমির খসরু বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সব প্রতিষ্ঠান একদলীয় করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। 

তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দর্শন তার ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে। জিয়াউর রহমান কারো বিরুদ্ধে সরাসরি তার বক্তব্য ফলো করেনি। তিনি যে কাজগুলো করতেন সেটা তিনি বলতেন। কারো সঙ্গে বিদ্বেষপূর্ণ কোনো বক্তব্য ছিল না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানাসহ প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম