‘একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে জামায়াত ক্ষমা না চেয়ে নিজেদের জাস্টিফাই করছে’
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
![‘একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে জামায়াত ক্ষমা না চেয়ে নিজেদের জাস্টিফাই করছে’](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/01/09/J--MUKTI--JODDHA--DOL-------677fee0131377.jpg)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম এখন একটা সুযোগ এসেছে, এই সুযোগে তারা (জামায়াতে ইসলামী) একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে। সেটি না করে তারা একাত্তরে তাদের ভূমিকাকে জাস্টিফাই করছে এবং দেশপ্রেমিক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অহংকার’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, আজ গণ-অভ্যুত্থানকে স্বাধীনতার উপরে স্থান দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা করছে একটি মহল। স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে আমরা কোনো কিছুরই তুলনা করতে পারি না। সবার উপরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, চিরকাল এভাবেই থাকবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধকে কাউকে কলঙ্কিত করতে দেব না। মুক্তিযুদ্ধ বিভক্ত হবে, এটাও আমরা আশা করি না।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এদেশে দেশপ্রেমিক শুধু সামরিক বাহিনী এবং জামায়াতে ইসলামী। এই বক্তব্যে আমরা আহত হয়েছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই তারা দেশপ্রেমিক, নাকি দেশপ্রেমিক না। তাদের একাত্তরের ভূমিকা, বর্তমান ভূমিকা- প্রতিটি ভূমিকা সাক্ষ্য দেয় তারা সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের (জামায়াতে ইসলামী) এতদিন মিত্র হিসাবেই গণ্য করে এসেছি। তাদের দল যখন বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে, ধানের শীষ দিয়ে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছি। খালেদা জিয়া তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। আমরা অনেকে সেটি পছন্দ করিনি, দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে মেনে নিয়েছি। তার বিনিময়ে কি তাদের এই উক্তি করা সঠিক হয়েছে? আমরা এ ধরনের উক্তি তাদের কাছে আশা করি না। এ ব্যাপারে তারা ভবিষ্যতে আরও যত্নবান হবেন।
মেজর হাফিজ বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত দেশে পাঠাবে এই আশায় যখন আমরা বুক বেঁধেছি, এখন দেখা গেল তার ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। এটি করলে তাদের সঙ্গে আমাদের আর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার অবকাশ থাকবে না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আব্দুস সালামসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।