Logo
Logo
×

বিএনপি

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে: রিজভী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে: রিজভী

শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, এখনো বিভিন্ন উপায়ে গণতন্ত্র বিরোধী শক্তি এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানাভাবে কাজ করছে। একটির পর একটি ঘটনা সারা দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে, আঙ্কিত করছে। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় নিমজ্জিত রাখছে। সচিবালয় চারদিক বেষ্টিত একটি সরকারি দপ্তর।সেখানে আগুনে ভস্মিভূত হয়ে গেছে অনেক ফাইল। তারমধ্যে সবচেয়ে বির্তকিত দুর্নীতিবাজ সাবেক কেবিনেট সচিব, যার নামে তদন্ত হচ্ছে তার ফাইলও পুড়ে গেছে। এটা তো রহস্যজনক। 

রিজভী বলেন, আজকে সারা দেশের মানুষ সন্দেহ পোষণ করছে। কারণ, বুধবার দেখেছি- শেখ হাসিনার নিকটজনদের বেশ কিছু ফাইল তলব করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। এর ফলেই এই ধরনের ঘটনা সচিবালয়ে ঘটেছে। এসব ঘটনা বিছিন্ন ঘটনা নয়।

শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ‘জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, তারা স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়নি। বিপ্লবী চেতনা নিয়ে, ছাত্র-জনতার আত্মাহুতির স্পিরিটকে লালন করে প্রশাসন সাজানো হয়নি। সেই শেখ হাসিনার দোসর ও আওয়ামী লীগকে যারা লালন-পালন করে সহযোগিতা করেছে, মুজিব কোট পরে ওসি ও এসপির দায়িত্ব পালন করেছে তারাই আজকে সচিবালয়ের বিভিন্ন পদে বসে আছে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করবে কেন? তারা গণতন্ত্রের বিপ্লবকে ধারণ করবে কেন? তারা নানা কারসাজির মধ্যদিয়ে এই সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

রিজভী আরও বলেন, যারা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে একটা প্রতিপক্ষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার সেটা বুঝে হোক, কিংবা না বুঝে হোক সেই প্রতিপক্ষ হওয়ার দিকে যাচ্ছে। তাদের বয়ান এমন যে যারা রাজনীতি করে, যারা বড় রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তাদেরকেই তারা প্রতিপক্ষ তৈরি করছে। কেউ কেউ বলছে, শুধু কি নির্বাচনের জন্যই এই আন্দোলন হয়েছে, এত জীবন দিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন তো গণতন্ত্রের একটা অনুসঙ্গ। আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এটাকে মাইনাস করছেন কেন? সংস্কার চলবে, নির্বাচন চলবে। আপনাদের স্ব স্ব অভিমতগুলো পেশ করবেন। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণ যাকে ভোট দিবে, তারা সেই সংস্কার নিয়ে কাজ করবে। সেটা না করে আপনারা প্রতিপক্ষ বানাচ্ছেন। নির্বাচনকে আলাদা করে সংস্কারকে বড় করে দেখা হচ্ছে। এটা দুরভিসন্ধিমূলক মনে হচ্ছে। শুধু সংস্কারের কথা বললে মইনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের কথা মনে পড়ে।

‘আনুপাতিক হারে নির্বাচন এটা কি কোনো হাওয়াই মিঠাই’-এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এটা (আনুপাতিক হারে নির্বাচন) কি জনগণ জানে? এ জিনিসটা কী? জনগণ জানে ব্যালট পেপারে তার পছন্দের প্রতীককে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলা। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা বুঝতেই তো বহুদিন চলে যাবে। মানুষের এটা নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। 

তিনি বলেন, হঠাৎ করেই এ প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আসা মানে, যারা সরাসরি জনগণের ভোটকে ভয় পায়, যারা প্রত্যক্ষ ভোটের প্রতিযোগিতায় ভয় পায় এবং যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। তারাই আনুপাতিক হারে ভোটের কথা বলছে, নির্বাচনের কথা বলছে। এটা সাধারণ মানুষের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম