হাসিনার মতো অপরাধীকে ভারতে আশ্রয় মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ওইদিনই তিনি দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। তার ব্যাপারে দীর্ঘ মেয়াদে ভারত সরকার কী করতে চায়, সেটা পরিষ্কার নয়।
শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয়ের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমরা মনে করি, সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক নিয়েই থাকব। ভারত সরকার বাংলাদেশের একজন অপরাধীকে এভাবে আশ্রয় দেবে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা।
রোববার বিকালে রাজধানীর আদাবরের বাসায় যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফেরত না চাওয়া পর্যন্ত ভারত যদি তাকে (শেখ হাসিনা) রাখতে চায়, তাহলে শর্ত হতে পারে যে তাকে চুপ থাকতে হবে।
এ বিষয়ে রিজভী বলেন, আমি মনে করি, তিনি (ড. ইউনূস) যেটা বলেছেন, যথার্থই বলেছেন। অবৈধ ক্ষমতা দখলে রেখে শেখ হাসিনা এমন অপরাধ করেছেন, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ রাখার জন্য গুম-খুনের যে কর্মসূচি চালিয়েছেন, সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট গণহত্যা। ওনার বিচার করতে হবে, এটা যৌক্তিক দাবি। পৃথিবীর যেসব দেশে মানবতাবিরোধী-গণহত্যাকারী শাসক ছিল, তাদের যেভাবে বিচার হয়েছে, তেমনই শেখ হাসিনারও বিচার হওয়া দরকার। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমরা মনে করি, সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক নিয়েই থাকব। বাংলাদেশের একজন অপরাধীকে এভাবে আশ্রয় দেবেন, সেটা বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছেন না। বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা উচিত।