কোনো দিবস ঘিরে আ.লীগ নৈরাজ্য করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে: ইসরাক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কেউ দেশে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে, তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।’
বুধবার দুপুরের রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে তিনি একথা বলেন। শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যা ও তাদের বিচার দাবিতে বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।
ইশরাক বলেন, ‘স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিদেশে পালিয়ে থাকা তার দুর্নীতিবাজ ছেলে বিদেশে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে দেশে কোনোভাবে নৈরাজ্য, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানো যায় কি না। বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র করছে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। আর দেশে থাকা স্বৈরাচারের দোসররা তাদের সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তবে আমরা তাদের শক্ত হাতে রুখে দিব।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে এই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল আরেক দিকে এই দেশের আঠারো কোটি মানুষ। আগামীতে কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতর কোনো আওয়ামী সন্ত্রাসী কুচক্রী মহল কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা কোনো ধরনের অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
‘অতীতে আওয়ামী লীগের লোকজন দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করেছে’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না।’
উপস্থিত ব্যবসায়ীদের নির্ভয়ের ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন ইশরাক।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান দায়িত্ব দিয়েছেন আপনাদের পাশে থাকার জন্য। আর আপনাদের সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য। কোনো দলীয় পরিচয়ে যদি কেউ এসে আপনাদের কোনো ধরনের ডিস্টার্ব করে অথবা আপনাদের কাছে চাঁদা দাবি করে তাহলে আপনারা সবাই মিলে তা রুখে দিবেন।’
পরে স্থানীয় নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ সদরঘাট এলাকা প্রদক্ষিণ করেন ইসরাক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি সুমন ভূইয়াসহ স্থানীয় বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।