আমার প্রশ্ন সে কিভাবে গেল, বেনজীরকে নিয়ে ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোক নিয়ে সরকারের দেওয়া বক্তব্য ‘লোক দেখানো’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম বেনজীর দেশ ছেড়ে চলে গেছে। ৪ মে সপরিবারে চলে গেছে। যাওয়ার আগে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো খালি করে গেছে। অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ৬০ কোটি টাকার মতো নেওয়ার খবর বেরিয়েছে, হয়ত আরও বেশিও হতে পারে। আমার প্রশ্ন সে কিভাবে গেল? সরকার বলল, তার সম্পত্তি আমরা ক্রোক করছি। আদালত থেকে বলল, দুদক থেকে মামলা করেছে, তাকে কোথাও যেতে দেওয়া হবে না। তাহলে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে কিভাবে চলে গেল? সরকারের প্রশ্রয়ে, নাকের ওপর দিয়েই গিয়েছে।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় ‘বেনজীর আহমেদ দেশে নেই’-গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাহলে এই যে কথা বলছেন, কেউ ছাড় পাবে না, আমরা সবার বিচার করি। আপনি বাংলাদেশের মানুষ সবাইকে আহম্মক মনে করেছেন? দেশের মানুষ তো আহম্মক না। সবাই বুঝে, এগুলো সব আপনাদের লোক দেখানো, প্রতারণা। এখন পর্যন্ত এই প্রতারণা করে দেশ শাসন করেছেন।’
সরকার দেশকে লুটের সাম্রাজ্যে পরিণত করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু এক বেনজীর-আজিজ নয়, অসংখ্য আজিজ আর বেনজীর তৈরি করেছে এই সরকার। দেশটাকে একটা লুটের সাম্রাজ্যে পরিণত করেছে। এখান থেকে আমাদের দেশটাকে রক্ষা করতে হবে। বিশ্বাস করি, দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দানব সরকারকে আমরা পরাজিত করব। সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার, গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই-সংগ্রাম করছি। একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, বিজয় আমাদের অর্জন করতেই হবে, সাফল্য আনতেই হবে। বাংলাদেশে বিএনপি কখনোই তার অভিষ্ট লক্ষ্য থেকে সরে দাঁড়াবে না। কৌশল পরিবর্তন হলেও লক্ষ্য অটুট আছে। আমরা ব্যর্থ নই। নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছি, নতুন করে আবার কাজ শুরু করেছি। জয় আমাদের হবেই। কারণ, আমরা সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে লড়াই করছি।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট মাসুম আহমেদ তালুকদার, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম, শামীমুর রহমান শামীম, এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফখরুল আলম, কাজী সাখাওয়াত হোসেন, জাহানারা সিদ্দিকী, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, জিয়াউল হায়দার পলাশ, তানভীরুল আলম, রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন পেশাজীবী।