Logo
Logo
×

বিএনপি

উপজেলা ‘ভোট বর্জন করায়’ ভোটারদের স্যালুট: মঈন খান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম

উপজেলা ‘ভোট বর্জন করায়’ ভোটারদের স্যালুট: মঈন খান

‘সারা দেশে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট বর্জন করায় ভোটারদের স্যালুট’ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘বিগত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের মতো দেশের মানুষ উপজেলা নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছে। আমার নিজের এলাকায় সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে একজন ভোটারও উপস্থিত হয়নি। আমি ৭ জানুয়ারির মতো বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদেরকে স্যালুট জানাই।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা না থাকলে সরকারেরও নিরাপত্তা থাকবে না। কিন্তু সরকার এটা বুঝে না। তারা যদি বুঝত, প্রবাসীদের কোনো কষ্ট, দুঃখের দাবি জানাতে হতো না। সরকার স্বেচ্ছায় এসব দাবি পূরণ করত। বৈদেশিক মুদ্রা আয় দেশের আয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, এটাও একটা শুভঙ্করের ফাঁকি। গার্মেন্টস খাতকে আয়ের শীর্ষে দেখানো হলেও সেখানে মুদ্রাপাচার ও চুরি রয়েছে। তাছাড়া ওই সেক্টরে কাঁচামাল আমদানি করতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। ওই খরচ যোগ-বিয়োগ করলে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না। আর প্রবাসী আয়ে কোনো কাঁচামাল আমদানি করতে হয় না। সেখানের কাঁচামাল হলো শ্রমিকদের গায়ের রক্ত জল করা পানি। আর সেই রেমিট্যান্স দিয়ে আজকের সরকার বাহাদুরি করছে।’

‘বিমানবন্দরে প্রবাসীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে’ মন্তব্য করে মঈন বলেন, ‘বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে জোঁকের মতো কিছু লোক প্রবাসীদের ঘিরে ফেলেন, তারা অধিকাংশই সরকারের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন প্রবাসে কষ্টের জীবন শেষ করে এসে তারা বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে তাদের মন ভেঙে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধসে পড়বে। প্রবাসীরা যদি রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দেয়, সাত দিনের ভেতরে এ সরকার মুখ থুবড়ে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা বিদেশের দূতাবাসগুলোতে গেলে তাদেরকে কোনো সম্মান ও তাদের সমস্যা সমাধান করা হয় না। অথচ তাদের দেওয়া অর্থে সেই দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন চলে। একথা রাষ্ট্রদূত সাহেবরা ভুলে যান। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছে আজকের এই সরকার। আবার তারা বড় বড় কথা বলে। তারা বলে, গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি নাকি তারা। তারা যদি গণতন্ত্রের স্বপক্ষে শক্তি হতো, তাহলে কি তারা বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিতে পারত? আজকে দেশের বাকশাল-২ কায়েম করেছে।’

গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম