সরকারের ‘নতজানু নীতির’ কারণে বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
‘আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু নীতির কারণে বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএসএফের নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের ওপরেও বর্তায়। তাদের নতজানু নীতির কারণে বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে। গতকালও (সোমবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ যেন নির্যাতন আর মৃত্যুর নির্মম খড়গ। তাদের মনে নিত্য জেগে রয়েছে কেবল হত্যার উল্লাস।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দখলদার আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। কিন্তু ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএসএফের বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে পারেনি। আমি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক গতকাল (সোমবার) নিহত হাসান মিয়াসহ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি মানুষদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। নিহত হাসান মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয়। প্রচলিত ফৌজদারী, দেওয়ানীসহ সব আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশের বিরোধী দলের প্রধান নেতারাসহ লাখ লাখ নেতাকর্মীর ওপর নেমে আসা জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো যায় আসে না। তার সব অপকর্মের দায় নিয়েছে পাশ্বর্বর্তী দেশ।’
রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে তা আজ দেশ-বিদেশে সর্বজনবিদিত। গতকাল (সোমবার) যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টেও সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বাংলাদেশের গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, কারা নির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়েছে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান ডামি সরকারের অভিন্নহৃদয় বড় বন্ধু হচ্ছে পাশ্বর্বর্তী দেশ ভারত। মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দিয়ে দিয়েছেন।’